বাবুল ও ধনখড় টুইট তরজা
রাজ্যপালকে জবাব দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। জোড়া টুইটে রাজ্যপালকে জবাব দেন বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ তাঁর শপথগ্রহণের বিষয়টি ঝুলে ছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অনুমতির অপেক্ষায়। শনিবার সেই কাঙ্খিত অনুমতি দেন রাজ্যপাল। যদিও শুক্রবার বিধায়ক পদে শপথ নিতে না পারায় টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাবুল। তবে শনিবার রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জ্ঞাপক টুইটে স্পিকারের কাছ থেকে শপথ নিতে না পারায় ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তারই জবাব হিসেবে রবিবার টুইট করেন রাজ্যপাল। সেই টুইটের জবাবে বাবুল লেখেন, স্যর, যেহেতু আপনি আমার কাছে একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন জনসমক্ষেই, তাই এই বার্তা এড়িয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বরং বিনয়ের সঙ্গে দায়িত্বপূর্ণ উত্তর দেওয়া প্রয়োজন, যদিও, আমার সীমিত জ্ঞানেই আমি জানি না সংবিধান শপথগ্রহণ বাধা দেয় কি না। বিধায়ক হিসেবেই জনসমক্ষে মহামান্য রাজ্যপালের উত্তর দিলাম।’
দ্বিতীয় টুইটে বাবুল রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে আরও লিখেছেন, ‘মাননীয় মহোদয়, আমি বুঝতে পারি যে সংবিধান সম্পর্কে আমার জ্ঞান আপনার প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় তবে দুই বারের সাংসদ এবং প্রায় আট বছর ধরে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে, আমি কি স্বীকার করতে পারি যে আমি জানি যখন টুইটারের অস্তিত্ব ছিল না তখন আমাদের সংবিধান রচিত হয়।’ প্রসঙ্গত, শনিবার বাবুলের টুইটের জবাব রবিবার দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছিলেন, ‘১৬১ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয়র প্রকাশ্যে মাননীয় স্পিকারের দ্বারা শপথ গ্রহণের জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করা সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।’
বাবুলের শপথগ্রহণের বিষয়টি যেমন এখনও ঝুলে রয়েছে, তেমনই শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করেও বির্তকের ঝ়ড় তৈরি হয়েছে। সেই বির্তকের অংশ হিসেব রবিবার চলল বাবুল-ধনখড় টুইট যুদ্ধ। আগামী কয়েকদিন এই যুদ্ধের অভিমুখ কোন দিকে যায় সে দিকেই তাকিয়ে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।