Tripura

Tripura: তৃণমূলে ভাঙন ধরাল কংগ্রেস, দল ছাড়লেন যুবনেতা-সহ একঝাঁক কর্মী

কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সেই অনুষ্ঠানে বিজেপি ও তৃণমূল দু’দল থেকেই প্রায় ২৫১৭ জন নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২২ ১৭:১৩
Share:

রবিবার আগরতলায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন একঝাঁক তৃণমূল কর্মী। নিজস্ব চিত্র।

ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখেই শনিবার পূর্ণাঙ্গ যুব সংগঠনের পদাধিকারীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ঠিক তার একদিন পরেই দল ছাড়লেন ত্রিপুরা তৃণমূলের এক যুবনেতা-সহ একঝাঁক তৃণমূলের নেতাকর্মী। রবিবার আগরতলায় যোগদান সভার আয়োজন করা হয়েছিল ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সেই অনুষ্ঠানে বিজেপি ও তৃণমূল দু’দল থেকেই প্রায় ২৫১৭ জন নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

ত্রিপুরার রাজনীতির কারবারিদের দাবি, এই যোগদান সভায় সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাদের সংগঠনের একদা যুব সংগঠনের সভাপতি বাপ্টু চক্রবর্তী রবিবার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের হাত ধরে কংগ্রেসে ফিরলেন। বাপ্টু ত্রিপুরার রাজনীতিতে উদীয়মান নেতা হিসেবে পরিচিত। বছর খানেক আগেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের পুরনো দলে ফিরলেন বাপ্টু।

যোগদান অনুষ্ঠান শেষে আগরতলার বিধায়ক সুদীপ বলেন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূল ছেড়ে আজ যাঁরা কংগ্রেসে যোগদান করলেন তাঁরা সকলেই শপথ নিয়েছেন ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন।’’ তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দু’একজন নেতা দলবদল করলে সংগঠনের ক্ষতি হয় না। সবাই দলের সঙ্গেই রয়েছেন। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পায়ের তলায় মাটি ছিল না। তাই তাঁরা কংগ্রেসে গিয়েছেন। তবে দলবদল করা নেতাদের কথায়, ‘‘বাংলায় বিজেপিকে রুখতে পারলেও, ত্রিপুরায় তৃণমূল তা পারবে না। কংগ্রেসের ছাতার তলায় থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকৃত লড়াই সম্ভব। তাই আমরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement