শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।
সব ঠিকঠাক চললে আগামী সোমবার আন্দোলনরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁদের আবেদন পেয়েই বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। সেই মতো সোমবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক হতে পারে। নিয়োগের দাবিতে ২০১৯ সাল থেকে ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে শহরের নানা জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন ২০১৬-র এসএসসিতে মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীরা। এই মুহূর্তে ধর্মতলায় গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান করছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আলোচনার আবেদন পেলে রাজ্য সরকার তা নিয়ে এগোবে, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের বিকাশ ভবন থেকে ফোন করে সোমবারের বৈঠক নিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
২৯ জুলাই গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থানরত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকতার জন্য মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবিদাওয়া শুনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। ওই দিনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হবে। শনিবার বিকাশ ভবনের তরফে ফোন পেয়ে বৈঠকের ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতারির পর থেকে তাঁদের আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ে। ফলে এই সময়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মী হয়েছে শাসকদল। যদিও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তাতে পাত্তা না দিয়ে সরকার পক্ষ সমস্যার সমাধান চায় বলেই মন্তব্য করেছিল শাসক দল।
আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকাশ ভবনে যাবেন আট জনের একটি প্রতিনিধি দল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য মেধাতালিকাভুক্ত প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ যাতে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে সরব হবেন তাঁরা।