মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে পর্যটন ক্ষেত্র নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। বুধবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পর্যটনকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় মন্ত্রিসভা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক বড় বড় সংস্থা রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবে। ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে। সরকার পর্যটনকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ার ফলে রাজ্যে শিল্প তৈরি করতে গেলে যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করলেও সেই সমস্ত সুবিধা মিলবে শিল্পপতিদের। তাই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজ্যের বণিক মহল।
পশ্চিমবঙ্গে শিল্প তৈরির ক্ষেত্রে জমি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে ছাড় পান শিল্পপতিরা। নবান্নের আধিকারিকদের একাংশের মতে, রাজ্য সরকার পর্যটনকে শিল্প হিসেবে তুলে ধরার ফলে পর্যটন ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের জন্য সেই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
গত সেপ্টেম্বরে বিদেশ সফরে যাওয়ার অব্যবহিত আগেই পর্যটন দফতরের মন্ত্রী বদল করেন মমতা। বাবুল সুপ্রিয়ের বদলে দফতরের দায়িত্ব তিনি দেন ইন্দ্রনীল সেনকে। এ বার সেই দফতরকে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে গতি আনার চেষ্টা করলেন তিনি। এমনটাই মত প্রশাসনিক মহলের একাংশের। পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের যে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের কথা বাণিজ্য সম্মেলনে আগত শিল্প মহলের কাছে তুলে ধরা হবে।
পাশাপাশি, রাজ্যের সরকারি জমিতে থাকা জলাশয়গুলিকে রক্ষা করার জন্য বুধবার মুখ্যমন্ত্রী একটি কমিটি গড়েন মন্ত্রিসভার বৈঠকে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আওতায় থাকা জলাশয়গুলিকে রক্ষা করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। রাজ্যের তিন বর্ষীয়ান মন্ত্রীকে ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে। জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানুষ ভুঁইয়া, মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী ও কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এই কমিটির সদস্য করেছেন মমতা।