শুক্রবার পার্থ হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন আলিপুর আদালতে। ফাইল চিত্র ।
আদালত কক্ষ থেকে কোর্ট লকআপে যাওয়ার পথে তাঁকে ঘিরে উপচে প়ড়া ভিড়। তার মধ্যেই ভেসে এল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আর্তনাদ, ‘‘মরে যাব, আমি মরে যাব।’’
শুক্রবার পার্থ হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন আলিপুর আদালতে। শুনানির পর তাঁকে আদালত কক্ষ থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কোর্ট লকআপে। পুলিশি ঘেরাটোপে একটি সরু করিডর দিয়ে পার্থকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম এবং আইনজীবীদের ভিড়। বাইরে বৃষ্টি পড়ার কারণে যেন আরও চেপে বসেছিল ভিড়টা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কিও। সেই ধাক্কাধাক্কি এবং ভিড়ের চাপে আর্তনাদ করে ওঠেন পার্থ। চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘‘মরে যাব, আমি মরে যাব, আমাকে বেরোতে দিন!’’
এর পর ভিড় ঠেলে পুলিশ পার্থকে নিয়ে কোর্ট লকআপে নিয়ে চলে যায়। পার্থের সঙ্গে কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সবাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
প্রসঙ্গত, শুনানি শেষে শুক্রবার আদালত কক্ষ থেকে বেরোতেই পার্থকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান ওঠে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ দুপুর ১২টা নাগাদ আলিপুর আদালতে হাজিরা দেন। এর পর দুপুর ২টো নাগাদ তিনি যখন আদালত থেকে বেরোচ্ছেন, সেই সময় চত্বর জুড়ে ওঠে ‘চোর চোর’ চিৎকার।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থকে এ বার নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’তে মূল অভিযুক্ত আসলে পার্থ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় তারা। এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর।