Pedophilia

নাবালিকাদের যৌন নিগ্রহের পর তাদের শরীরে খোদাই করে রাখত নামের আদ্যক্ষর!

এক সঙ্গে ১৭টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হন ব্রিটেনের অন্যতম কুখ্যাত শিশুদের যৌননিগ্রহ করা অপরাধী। ৪০টি অপরাধে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কুখ্যাত এই অপরাধীর নাম গ্লিন কেনিয়ন।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:০০
Share:
০১ ১৯

এক সঙ্গে ১৭টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হন ব্রিটেনের অন্যতম কুখ্যাত শিশুদের যৌননিগ্রহ করা অপরাধী। ৪০টি অপরাধে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই অপরাধীকে কারাগারে ১০০ বছরেরও বেশি আটকে রাখা উচিত ছিল বলেও আদালতের বিচারক জানিয়েছিলেন। কুখ্যাত এই অপরাধীর নাম গ্লিন কেনিয়ন।

০২ ১৯

ইংল্যান্ডের ব্রাডফোর্ডের বাসিন্দা গ্লিনের অপরাধের বিবরণ শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে।

Advertisement
০৩ ১৯

মাছের খাদ্য প্রস্তুতকারী এবং পাথর কাটাই কর্মী হিসাবে কাজ করত কেনিয়ন। হ্যালিফ্যাক্সের একজন মহিলাকে খুনের চেষ্টার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় সে। ওই মহিলাকে এলোপাথাড়ি ভাবে আক্রমণ করে তাকে খুন করার চেষ্টা করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

০৪ ১৯

তবে এটিই কেনিয়নের এক মাত্র অপরাধ ছিল না। দুই নাবালিকাকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করার জন্যও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর জন্যও তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।

০৫ ১৯

কেনিয়ন ধরা পড়ার পর নির্যাতিতারা ব্র্যাডফোর্ড ক্রাউন কোর্টে এসে তার জঘন্য অপরাধের বর্ণনা দেন। ওই দুই নাবালিকা তখন প্রাপ্তবয়স্ক। কেনিয়ন ধরা পড়েছে শুনেই বুকে সাহস ভর করে তাঁরা পুলিশের কাছে পৌঁছন।

০৬ ১৯

আইনজীবীদের একাংশের মতে, কেনিয়ন ব্রিটেনের জঘন্যতম যৌন হেনস্থাকারী। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বব ব্রিজস্টকের মতে, তাঁর কর্মজীবনে কেনিয়নের মতো বিকৃত মানসিকতার অপরাধী দেখেননি। দুই নাবালিকার শৈশব কেড়ে নিয়েও কেনিয়নের কোনও অনুশোচনা ছিল না বলেও বব দাবি করেছিলেন।

০৭ ১৯

২০০২-এর শুরুতে লিডস ক্রাউন কোর্টে তিন সপ্তাহের বিচারের পর কেনিয়নকে যৌন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

০৮ ১৯

আদালতের জুরিরা কেনিয়নকে ৪০টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। যার মধ্যে আটটি ধর্ষণ, ছ’টি গুরুতর যৌন অপরাধ এবং ছ’টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল।

০৯ ১৯

কেনিয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সে নির্যাতিতাদের উপর শরীরিক অত্যাচার করত এবং তাদের খুন করার হুমকি দিত। এক নির্যাতিতাকে পতিতাবৃত্তিতে নামানোর জন্য অশ্লীল ছবি তুলে ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছিল কেনিয়নের বিরুদ্ধে।

১০ ১৯

আদালতে পাঁচজন পুরুষ এবং সাতজন মহিলার জুরি অভিযোগকারিণীদের থেকে শোনে, নাবালিকা থাকাকালীন তাঁদের কী রকম অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

১১ ১৯

নির্যাতিতাদের যখন পাঁচ বা ছয় বছর বয়স, তখন থেকে তাদের নির্যাতন শুরু করে কেনিয়ন। এদের মধ্যে এক জন নাবালিকা দু’বার অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে।

১২ ১৯

ধর্ষণ করার পাশাপাশি নির্যাতিতাদের উত্তপ্ত ধাতু বা মোম দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া এবং সূচ দিয়ে শরীরে ক্ষত করার অভিযোগও ছিল কেনিয়নের বিরুদ্ধে।

১৩ ১৯

তাদের অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন মিলন করার জন্য চাপ দেওয়া হত বলেও অভিযোগকারিণীরা জানান।

১৪ ১৯

নির্যাতিতাদের শরীরে কেনিয়ন নিজের নামের আদ্যক্ষর খোদাই করে রাখত বলেও অভিযোগ ওঠে।

১৫ ১৯

যদিও কেনিয়ন আদালতে দাবি করেছিল, তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। সে জানায়, নাবালিকাদের সম্পূর্ণ সম্মতিতেই তাদের মধ্যে যৌন মিলন হত।

১৬ ১৯

কেনিয়ন আরও জানায় যে, তার স্ত্রীর কথা মতো সে কিছু হুমকি চিঠি লিখেছিল এবং এর সঙ্গে ওই নাবালিকাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

১৭ ১৯

এর পর বিশদে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, কেনিয়নের স্ত্রী ক্যারল এবং শ্বশুর উইলিয়াম ক্রসলিও তাকে বিভিন্ন অপরাধে সাহায্য করে। বাকি অভিযুক্তদেরও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

১৮ ১৯

আদালতের বিচারক মামলার শুনানি শেষে জানিয়েছিলেন, কেনিয়নের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ রয়েছে, সেই অনুযায়ী তার ১০৯ বছরের জেল হওয়া উচিত।

১৯ ১৯

বিচারক অ্যালিস্টার ম্যাককালাম নির্দেশ দেন, কেনিয়ন কমপক্ষে ১৬ বছরের জন্য জামিনের আবেদন করতে পারবে না। এর পরই জেলে পাঠানো হয় কেনিয়নকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement