Namit Malhotra

ঝুলিতে রয়েছে সাতটি অস্কার! ‘ব্রহ্মাস্ত্র’য় কাজ করা নমিতের বাবা-দাদুও কাজ করেছেন বলিউডে

‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমার ভিএফএক্সের দায়িত্বে ছিল লন্ডনভিত্তিক ভিজ্যুয়াল এফেক্ট, কম্পিউটার অ্যানিমেশন এবং স্টেরিও কনভার্সন স্টুডিও ডিএনইজি। ১৯৯৮ সালে এই স্টুডিয়ো তৈরি হয়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৯
Share:
০১ ১৫

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বলিউড সিনেমা ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। অমিতাভ বচ্চন, রণবীর কপূর, আলিয়া ভট্ট অভিনীত এই সিনেমা ইতিমধ্যেই সমালোচকদের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। তবে সিনেমার যে বিশেষ দিক সকলের নজর কেড়েছে, তা হল এই সিনেমার ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট (ভিএফএক্স)।

০২ ১৫

‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমার ভিএফএক্সের দায়িত্বে ছিল লন্ডনভিত্তিক ভিজ্যুয়াল এফেক্ট, কম্পিউটার অ্যানিমেশন এবং স্টেরিও কনভার্সন স্টুডিয়ো ডিএনইজি। ১৯৯৮ সালে এই স্টুডিয়ো তৈরি হয়। প্রথমে এই স্টুডিয়োর নাম ছিল ডবল নেগেটিভ স্টুডিয়ো। ২০১৪ সালে প্রাইম ফোকাস লিমিটেডের সঙ্গে জোট বাঁধে এই স্টুডিয়ো। নতুন নাম হয় ডিএনইজি। বর্তমানে এই সংস্থার সিইও নমিত মলহোত্র। তিনি প্রাইম ফোকাস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং নন-এগজিকিউটিভ ডিরেক্টরও। নমিতের তত্ত্বাবধানে থাকা এই স্টুডিয়োর ঝুলিতে রয়েছে সাতটি অস্কার। কিন্তু কে এই নমিত? ভারতের সঙ্গে কী ভাবে যোগ রয়েছে তাঁর?

Advertisement
০৩ ১৫

১৯৭৬-এর ২ এপ্রিল মুম্বইয়ে জন্ম নমিতের। তিনি বলিউডের প্রযোজক নরেশ মলহোত্রর বড় ছেলে এবং চিত্রগ্রাহক এমএন মলহোত্রর নাতি। এমএন ‘ঝাঁসি কি রানি’-সহ দেশে প্রথম দিকে তৈরি রঙিন চলচ্চিত্রগুলিতে কাজ করেছিলেন।

০৪ ১৫

নমিত মুম্বইতে বড় হন। জাসুদবেন এম এল স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর থেকে তিনি মুম্বইয়ের ‘এইচ আর কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকনমিক্স’ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক হন।

০৫ ১৫

১৯৯৫ সালে একটি কম্পিউটার গ্রাফিক্স স্কুলে ভর্তি হন নমিত। সেখানে তিনি শেখেন কী ভাবে কম্পিউটারে প্রযুক্তির সাহায্যে পুরো সিনেমা তৈরি করা সম্ভব। এর পর শিক্ষককে নিয়োগ করে বাবার গ্যারেজে সম্পাদনা স্টুডিয়ো ‘ভিডিয়ো ওয়ার্কশপ’ শুরু করেন তিনি।

০৬ ১৫

পরের দু’বছর, অনেক টেলিভিশন শো-সিরিয়াল এবং বিজ্ঞাপন তৈরির কাজে মন দেন নমিত। বিভিন্ন মিউজিক ভিডিয়োতেও কাজ করে ‘ভিডিয়ো ওয়ার্কশপ’ স্টুডিয়ো।

০৭ ১৫

১৯৯৭ সালে বাবা নরেশের সিনেমার সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থা ‘ভিডিও ওয়ার্কস’-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে ‘প্রাইম ফোকাস লিমিটেড’ নামে একটি ভিএফএক্স স্টুডিয়ো তৈরি করেন নমিত। প্রাইম ফোকাস বিভিন্ন টেলিভিশন এবং সিনেমার জন্য ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, সাউন্ড এবং ডিজিটাল ইন্টারমিডিয়েটের কাজ করা শুরু করে।

০৮ ১৫

২০০৬ সালে ‘প্রাইম ফোকাস’কে ভারতীয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করেন নমিত। এর পর নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, লস অ্যাঞ্জেলস এবং ভ্যাঙ্কুভারে প্রাইম ফোকাসের নতুন অফিস খোলা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘প্রাইম ফোকাস ওয়ার্ল্ড’।

০৯ ১৫

২০০৯ সালে, প্রাইম ফোকাস ওয়ার্ল্ড ‘ভিউ-ডি’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ক্ল্যাশ অব দ্য টাইটানস্‌’ সিনেমাকে ‘থ্রি-ডি’তে তৈরি করে। এ ছাড়াও ‘হ্যারি পটার’, ‘স্টার ওয়ার্স’ এবং ‘ট্রান্সফরমার্স’ সিরিজের একাধিক সিনেমাকে সফল বানানোর পিছনে এই স্টুডিয়োর হাত রয়েছে।

১০ ১৫

২০১১ সালের অক্টোবরে প্রাইম ফোকাস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব রামকি শঙ্করনারায়ণনের কাঁধে তুলে দেন অনিত।

১১ ১৫

২০১৪ সালের জুলাইয়ে ডাবল নেগেটিভের সঙ্গে জোট বাঁধে প্রাইম ফোকাস ওয়ার্ল্ড। লন্ডনের ভিএফএক্স স্টুডিয়ো ডাবল নেগেটিভ ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনসেপশন’-এর ভিএফএক্সের কাজ করেছিল। এর জন্য অস্কারও পায় এই স্টুডিয়েো।

১২ ১৫

এর পর ‘ইন্টারস্টেলার’ (২০১৫), ‘এক্স মেশিন’ (২০১৬), ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’ (২০১৮), ‘ফার্স্ট ম্যান’ (২০১৯), ‘টেনেট’ (২০২১) এবং ‘ডুন’ (২০২২) সিনেমায় সেরা ভিএফএক্সের জন্য আরও ছ’টি অস্কার জেতে এই স্টুডিয়ো।

১৩ ১৫

২০২১ সালে অগস্ট মাসে আমেরিকার নোভাটোর ক্যাপিটাল নামক এক বিনিয়োগকারী সংস্থা এই স্টুডিয়োতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। এর পর এই স্টুডিয়োর সিইও হন নমিত।

১৪ ১৫

পৃথিবীর অন্যতম নামী ভিএফএক্স সংস্থার সিইও হওয়ার পাশাপাশি নমিত এক জন চলচ্চিত্র প্রযোজকও।

১৫ ১৫

‘দ্য হারিকেন হেইস্ট’ (২০১৮), ‘হরাইজন লাইন’ (২০২০), ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (২০২২) এবং আসন্ন অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘গারফিল্ড’ (২০২৪)-এর সহ-প্রযোজনা করেছেন নমিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement