অর্পিতা ঘোষ ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্পিতা ঘোষ। বুধবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে দেখা করে তিনি পদত্যাগপত্র পেশ করেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই তাঁর এই ইস্তফা।
২০২০ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন অর্পিতা। ২০২৬ পর্যন্ত তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল। মেয়াদ শেষের এত আগেই কেন তাঁকে সরতে হল? তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধানসভা ভোটের আগেই অর্পিতার ‘পারফরম্যান্স’ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুশি ছিলেন না। সে কথা তাঁকে জানানোও হয়েছিল। কখনও ঠারেঠোরে, কখনও বা সরাসরি। তৃণমূলের ওই অংশের বক্তব্য, সাংসদ হিসেবে অর্পিতা এমন কিছু কাজ করছিলেন যা দল সুনজরে দেখেনি।
বস্তুত, অর্পিতার পাশাপাশি তৃণমূলের আরও এক রাজ্যসভা সাংসদের উপরেও দলীয় নেতৃত্বের নজর রয়েছে বলে খবর। অর্পিতাকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলে ওই সাংসদকেও বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করছে তৃণমূলের অন্দরমহল।
অর্পিতার জায়গায় রাজ্যসভায় এ বার তৃণমূল কাকে পাঠাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে দেওয়া আসনে ইতিমধ্যেই দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন অসমের নেত্রী সুস্মিতা দেব।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা। ২০১৪ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটেও জিতেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তিনি হেরে যান। ২০১৯-এর মে মাসে তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হলেও গত বছরের জুলাই মাসে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।