Al Qaeda

Afghanistan: আফগানিস্তানে সক্রিয় হচ্ছে আল কায়দা, ফের ৯/১১-র মতো হামলার আশঙ্কা আমেরিকার

আমেরিকার সেনা আধিকারিক স্কট বেরিয়ারের মতে, আগামী দু’-এক বছরের মধ্যেই ফের ৯/১১-র ধাঁচে হামলা চালানোর মতো পরিকাঠামো গড়তে পারে আল কায়দা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৩২
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

তালিবান জমানায় ফের আফগানিস্তানের মাটিতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে আল কায়দা। সম্প্রতি, আমেরিকার একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অবিলম্বে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা না হলে আগামী ১-২ বছরেই ফের আমেরিকার মাটিতে হামলা চালাতে পারে ওসামা বিন লাদেনের উত্তরসূরিরা। পুনরাবৃত্তি হতে পারে ৯/১১ সন্ত্রাসের।

তালিবান শাসিত আফগানিস্তান থেকে ফের হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আমেরিকার সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট বেরিয়ারও। মঙ্গলবার একটি আলোচনাসভায় তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আঁচ করতে পারি, আগামী দু’-এক বছরের মধ্যেই আমাদের দেশে ফের হামলা চালানোর মতো পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারে আল কায়দা।’’

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আফগানিস্তানে প্রত্যাবর্তনের বিকল্পও খুলে রাখা হচ্ছে জানিয়েছেন স্কট। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। আমাদের আরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।’’

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে গত মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘‘আফগানিস্তানে আর আল কায়দা নেই। ওখানে এখন আর সেনা রেখে কী হবে? আমরা ওখানে সেনা পাঠিয়েছিলাম মূলত আল কায়দা এবং ওসামা বিন লাদেনকে খতম করতে। আমাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।’’

Advertisement

কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বাইডেনের বক্তব্য কার্যত খারিজ করে পেন্টাগন জানিয়েছিল, ‘আফগানিস্তানে এখনও সক্রিয় আল কায়দা এবং আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী।’

এ বার আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টেও আফগানিস্তানে আল কায়দার সক্রিয়তার কথা স্বীকার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘পূর্বাভাস’ দেওয়া হয়েছে আসন্ন বিপদের।

ঘটনাচক্রে, গত শনিবার ৯/১১ সন্ত্রাসের ২০তম বর্ষপূর্তিতে আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি একটি ভিডিয়ো-বক্তৃতা প্রকাশ করে আফগানিস্তানে আমেরিকার পিছু হঠেছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধের পর আমেরিকা পরাস্ত হয়েছে। আফগানিস্তান ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে চলে গিয়েছে।’’ যদিও তালিবানের ক্ষমতা দখল সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement