অখিল গিরির বাড়ির সামনে তৃণমূল সমর্থকদের বিক্ষোভ।
পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হতেই বিক্ষোভের আবহ তৈরি হয়েছে পূব মেদিনীপুরে। কাঁথি পুরসভায় অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠদের প্রার্থী করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই মৎস্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক অখিল গিরির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। পরিস্থিতি এমন চেহারা নিয়েছে যে ওই নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পর্যন্ত দিয়েছেন অখিল।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কাঁথিতে অখিলের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কাঁথি পুরসভার যে ১৫ কাউন্সিলর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপি-তে চলে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে চার জনকে ফের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর এই ঘটনাকে সামনে রেখেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের জোড়াফুল শিবিরে।
কাঁথির ২১টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে নতুন মুখ আনা হয়েছে। যার মধ্যে অখিল পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকে বাদ দিয়ে অনেকেই অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, এক দিন আগেও যাঁরা বিজেপিতে ছিলেন তাঁরা রাতারাতি তৃণমূলে এসে টিকিট পান কী ভাবে? বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মী অমিত ধাউলির কথায়, ‘‘১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তরুণ বেরা বিধানসভার আগে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছিলেন। তিনি আবার তৃণমূলে এসে প্রার্থী হয়ে গেলেন। এটা কী করে হল?’’
পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল শিবিরের একাংশের সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। পাশাপাশি এগরায় প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডেই নতুন মুখকে প্রার্থী করা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। জেলা সদর তাম্রলিপ্ত পুরসভাতেও ২০ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি আসনে নতুন মুখকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে বলে জোড়াফুল শিবিরের একটি সূত্র দাবি করেছে। এগরা পুরসভার ১৪ আসনের ১২টিতেই নতুন মুখ আনা হয়েছে। তাম্রলিপ্ত পুরসভাতেও বাদ পড়েছেন অনেক পুরনো মুখ। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল জেলা স্তরের নেতারা।