প্রীতিকণার পাঠশালায় সরস্বতী পুজো করবে সাঁওতালি ছাত্রী চৈতালি
বীরভূমে পড়তে এসে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য পাঠশালা খুলে আগেই নজর কেড়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রীতিকণা জানা। এ বার ওই পাঠশালায় সরস্বতী পুজো করবে এক আদিবাসী পড়ুয়া। নেপথ্যে সেই প্রীতিকণা।
প্রীতিকণা খেজুরির বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে বীরভূমে একটি বেসরকারি কলেজে আইন পড়তে এসেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্য জুড়ে স্কুল বন্ধ হতেই ইলামবাজারের কাছে একটি পাঠশালা খোলেন প্রীতিকণা। স্কুল বন্ধ হলেও বাচ্চাদের পড়াশোনা যাতে থেমে না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রীতিকণার পাঠশালায় যারা পড়তে আসে, তাদের কারও বাবা পেশায় দিনমজুর, কারও বাবা আবার প্রান্তিক চাষি। অনেকের বই-খাতা কেনারও সামর্থ্য নেই। তাদের জন্য প্রীতিকণার এই উদ্যোগ নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে।
সমাজে বর্ণ-লিঙ্গের বেড়াজাল ভাঙতে এ বার উদ্যোগী হলেন তিনি। প্রীতিকণা সিদ্ধান্ত নেন, এ বছর ওই পাঠশালার সরস্বতী পুজো করবে তাঁরই ছাত্রী চৈতালি মুর্মু। চৈতালি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সাঁওতাল বাড়ির মেয়ে সে। প্রীতিকণার পাঠশালার সরস্বতী পুজোয় বাজবে না কোনও ঢাকও। ধামসা-মাদলের তালেই উদ্যাপিত হবে ওই পুজো।
প্রীতিকণা বলেন, ‘‘সমাজে আজও পিছিয়ে রয়েছেন আদিবাসীরা। মূলত সামাজিক কিছু বেড়াজালের কারণেই তাঁরা উঠে আসতে পারেন না। তা ভাঙতেই উদ্যোগী হয়েছে।’’