গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা। তাাই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার হেনস্তা করে বাংলায় হারের প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি, বলল তৃণমূল। এব্যাপারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে তৃণমূল বলেছে, ‘‘বিজেপির এই রাজনীতি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আসলে তারা বাংলার বিধানসভা ভোটের হেরে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছে না।’’
আলাপনকে দেওয়া কেন্দ্রের চিঠি নিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন বর্যীয়াণ তৃণমূল নেতা সৌগত রায় এবং রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। বৈঠকে আলাপনকে দেওয়া কেন্দ্রের চিঠি প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘‘একজন আইএএস আধিকারিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন কি না বা তাঁকে স্বাগত জানাতে যাবেন কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। এমনকি কেন্দ্র যদি কোনও আইএএস আধিকারিককে এ ধরনের দায়িত্ব দিতে চায় বা তলব করে তবে তার অনুমতিও রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই নিতে হয়। এটাই যুক্তরাষ্ট্রীয় নিয়ম। কিন্তু কেন্দ্র সেই নিয়ম মানেনি। আলাপন যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন এটা কেন্দ্রের নিশ্চিত অনুমান ছিল নির্দেশ নয়। তাই এক্ষেত্র কোনও বিধি বা প্রোটোকল ভাঙা হয়নি।’’
তৃণমূলের অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই রাজ্যের দক্ষ প্রশাসক আলাপনকে হেনস্তা করা হচ্ছে । সোমবার প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রকের তরফেই সোমবার আলাপনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথা জানিয়ে চিঠি দেন। তাছাড়া মোদী কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্তৃপক্ষেরও চেয়ারম্যান। যে বৈঠক আলাপনের না-থাকা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত, তা ইয়াস পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার জন্যই ডেকেছিলেন তিনি।
সৌগত বলেন, ‘‘কোভিড নিয়ে কাজ করছিলেন আলাপন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কেন দেখা করতে পারবেন না তা-ও কেন্দ্রকে আগে থেকে জানানো হয়েছিল। অবসর নেওয়ার পর কোনও আইএএস আধিকারিককে এভাবে হেনস্তা করা যায় না।’’
অন্যদিকে সুখেন্দু জানান,আলাপনের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে বলে খবর রয়েছে তাঁদের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘আলাপনের বিরুদ্ধে যদি আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ থাকত, তবে কেন্দ্র এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারত। কিন্তু আলাপনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। এই পদক্ষেপ স্পষ্টতই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।’’ এমনকি কেন্দ্রের এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।