তারকেশ্বরে নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
চৌরঙ্গি থেকে ‘দিদির দূত’ হয়ে হুগলির তারকেশ্বরে পৌঁছলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন তিনি। দেন সমস্যা মেটানোর আশ্বাসও। এর পর এক গ্রামবাসীর দীর্ঘ নাকের প্রশংসাতেও মেতে উঠতে দেখা যায় বহু বাংলা ছায়াছবির ওই নায়িকাকে।
শুক্রবার হুগলির তারকেশ্বরের মোজপুর এলাকায় গিয়েছিলেন নয়না। ঘটনাচক্রে তারকেশ্বর বিধানসভায় এলাকায় এত দিন ধরে ‘দিদির দূত’ হিসাবে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মসূচি পালন করছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়। এ বার ওই বিধানসভায় ‘দিদির দূত’ হিসাবে দেখা গেল চৌরঙ্গির বিধায়ক নয়নাকে। মোজপুর শ্মশানকালী মন্দিরে পুজো দেন নয়না। এর পর এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায় নয়নাকে দেখে। এক মহিলার কোলে থাকা শিশুকে আদর করেন নয়না। সকলে কেমন আছেন তা জানতে চান তিনি। গ্রামবাসীরা উত্তর দিতেই এক যুবককে লক্ষ্য করে অভিনেত্রী সহাস্যে বলেন, ‘‘আপনি চুলটা তো খুব সুন্দর রং করেছেন। কী করে করলেন গোলাপি রং? আপনার নাকটা তো আমার নাকের মতো। লম্বা...’’ অল্প থেমে ওই যুবককে তিনি পরামর্শ দেন, ‘‘দাড়িটাও গোলাপি করে নেবেন।’’
জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম শেখ সবুর আলি। নয়না তাঁর নাকের প্রশংসা করায় বেজায় খুশি সবুর। এই কথোপকথন শেষ হতে না হতেই নয়নাকে সামনে পেয়ে আবাস যোজনায় ঘরের আবেদন করেন মোজপুরের এক বাসিন্দা। তাঁকে আশ্বাস দেন চৌরঙ্গির বিধায়ক। এ জন্য সময় চেয়ে নেন তিনি। পাশাপাশি, নানা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগও তোলেন তিনি।