ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় ভিডিয়োকন-কর্তাকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন বম্বে হাই কোর্টের। ফাইল চিত্র।
আপাতত স্বস্তি পেলেন ভিডিয়োকন-কর্তা বেণুগোপাল ধুত। শুক্রবার তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। জামিনের আর্জি জানিয়ে আগেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই শিল্পকর্তা। বেণুগোপালের অভিযোগ ছিল, তাঁকে নিয়ম মেনে গ্রেফতার করা হয়নি।
ধুতের আইনজীবীও হাই কোর্টকে জানান, তাঁর মক্কেল তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করার পরেও সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। তদন্তকারী সংস্থার এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন ধুতের আইনজীবী। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে এবং পিকে চহ্বাণের ডিভিশন বেঞ্চে ধুতের আইনজীবী সন্দীপ লাঢ্যা জানান, কোনও রকম আগাম নোটিস না দিয়েই ভিডিয়োকন-কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই এই গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলে আদালতে সওয়াল করেন তিনি। সিবিআইয়ের কৌঁসুলি রাজা ঠাকরে ধুতের জামিনের আর্জির বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে দুই বিচারপতি ভিডিয়োকন-কর্তাকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে বেণুগোপালের বিরুদ্ধে। ওই কাণ্ডে আগেই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও তথা এমডি চন্দা কোছরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পাশাপাশি, চন্দার পাশাপাশি তাঁর স্বামী দীপক কোছরকেও গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও দীপককে তার আগেই গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত ৯ জানুয়ারি এই মামলায় জামিন পান চন্দা। তার পরই জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বেণুগোপাল।
সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, চন্দা এবং দীপক বছর চারেক আগে বেণুগোপালের সংস্থা ভিডিয়োকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বিপুল ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তোলা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপক। এ নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টেও। প্রসঙ্গত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দা। তবে অভিযোগ ওঠার পর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চন্দাকে বরখাস্ত করেছিল ওই ব্যাঙ্ক।