অতীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল বাংলার শাসকদল। ফাইল চিত্র।
সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে বহুবার সরব হয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে বিধানসভায় অতীতে নিন্দা প্রস্তাবও এনেছিল বাংলার শাসকদল। সোমবার বিধানসভায় এই নিয়ে আবার সরব হল তৃণমূল সরকার। বিধানসভায় ১৮৫ ধারায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে প্রস্তাব এনে আলোচনা করল সরকার। তবে এই আলোচনায় অংশ নেয়নি বিরোধীরা। এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি। পরে বিরোধী শূন্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়।
রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচারের মতো দুর্নীতিতে গত কয়েক মাস ধরেই সক্রিয় সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে— বার বার এই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই নিয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সোমবার আবার এই নিয়ে সরব হল বাংলার শাসকদল।
সোমবার বিধানসভায় ১৮৫ ধারায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের পরিষদীয় দলের উপমুখ্য সচেতক তাপস রায়। পরে এই প্রস্তাবের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন তাপস রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আলোচনায় অংশ নেয়নি প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, যারা দুর্নীতিপরায়ণ, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় তিনি থাকবেন না। এ-ও জানান, আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। সিবিআই, ইডিকে বিজেপি ডাকেনি। তাই এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।