দুজনে একান্তে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন। ফাইল চিত্র।
গত সপ্তাহেই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে বসেছেন তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। দায়িত্ব নিয়েই বিদায়ী চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। এ বার ফুরফুরা শরিফের আরও একজন প্রতিনিধির সঙ্গে আলাদা করে কথা বললেন তিনি। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে আলাদা করে কথা বললেন তপন। সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে যোগ দিতে এসেছিলেন নওশাদ। কিছুটা দেরিতে আসেন আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন। বিধানসভায় এসে নিজের কাছে ডেকে নেন নওশাদকে। দুজনে একান্তে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন তাঁরা।
নওশাদ বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই তপনবাবুকে চিনি। তিনি আমাদের হুগলি জেলার লোক। তিনি সম্প্রতি ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার কাছে তিনি ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন করার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। আমি তাঁকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।” একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক। তপন বলেছেন, “আমি উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর ফুরফুরা শরিফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। সেই পর্যায়ে নওশাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। নওশাদ আমাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি দ্রুতই ওই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারব।”
উল্লেখ্য, ২ মার্চ সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হন। জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। ওইদিন জামিনে মুক্ত হন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ। ৪ মার্চ, ৪২ দিন জেলবন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এরই মাঝে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ফিরহাদকে সরিয়ে তপনকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা।