Didi k Bolo

‘দিদিকে বলো’তে ফোন, আবাসে নাম ১৫ পরিবারের

এলাকাটি আর্থ-সামাজিক ভাবে অনগ্রসর। পুরুষেরা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে বা দিনমজুরের কাজ করেন। মহিলারা ফুল বিক্রি বা জরির কাজে যুক্ত।

Advertisement

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৮
Share:

বাড়ি তৈরি চলছে বাগনান-২ ব্লকের মদনমোহনপুরে। নিজস্ব চিত্র।

‘দিদিকে বলো’তে ফোন করতেই মুশকিল আসান!

Advertisement

বাগনান ২ ব্লকের হাল্যান পঞ্চায়েতের মদনমোহনপুর মাঝিপাড়ার ছোট্ট একটি মহল্লায় পাশাপাশি থাকা ১৫টি পরিবার যুক্ত হয়েছে আবাস প্রকল্পে। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার করে টাকাও ঢুকেছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

এলাকাটি আর্থ-সামাজিক ভাবে অনগ্রসর। পুরুষেরা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে বা দিনমজুরের কাজ করেন। মহিলারা ফুল বিক্রি বা জরির কাজে যুক্ত।স্থানীয়েরা জানান, আবাসের প্রথম তালিকায় এলাকার কারও নাম ছিল না।পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পরামর্শে বাসিন্দারা ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে নাম নথিভুক্ত করেন। নবান্নের নির্দেশে সমীক্ষা করে ব্লক প্রশাসন। তাতেই ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে ঝুপড়িবাসী ১৫টি পরিবারের। প্রকল্পের নিয়মে একটি ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর এবং শৌচাগার তৈরি করতে হবে। এ জন্য মোট সরকারি বরাদ্দ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

Advertisement

তবে একই ভাবে ‘দিদিকে বলো’তে নাম নথিভুক্ত করেও ওই এলাকায় ঝুপড়িতে বসবাসকারী আরও ১৫টি পরিবারের নাম আবাসের তালিকায় ঢোকেনি। ‘এক যাত্রায় পৃথক ফল’ হওয়ায় তাঁরা হতাশ। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ‍্যক্ষ সমরেন্দু সামন্ত বলেন, ‘‘পরে যদি ফের টাকা দেওয়া হয়, যাঁরা পাননি তাঁদের বিষয়টি দেখা হবে।’’

গৃহবধূ মামটি ভুঁইঞা ফুল বেচেন। আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। ঝুুপড়ি ভেঙে নির্মাণ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘টাকার পরিমাণ খুব কম। তাই গায়েগতরে খেটে রাজমিস্ত্রির খরচ বাঁচাচ্ছি।’’ কেউ আবার সরকারি বরাদ্দের সঙ্গে নিজের টাকা যোগ করে আরও একটি ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেমন, রাজেশ সাউ। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে-বৌমাকে নিয়ে ঝুপড়িতে থাকতাম। নিজের কিছু টাকা লাগিয়ে দু’কামরার বাড়ি করছি। নিজেরাও রাজমিস্ত্রির সঙ্গে জোগাড়ের কাজ করছি।’’

ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ২০২২ সালের সমীক্ষায় এই এলাকা বাদ পড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি হয়েছিল। বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘ঝুপড়িতে বাস করা এত মানুষ আবাস প্রকল্পে টাকা না পেলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল বার্তা যেত। তাই এলাকাবাসীকে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করার
পরামর্শ দিই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement