উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে মমতা গিয়েছিলেন অখিলেশের দলের প্রচারে। ফাইল চিত্র।
শুক্রবার বিকেলে কালীঘাটে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তৃণমূলের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক যোগ দিতে আসবেন অখিলেশ। ওই বৈঠক থেকেই বিকেল ৫টা নাগাদ তৃণমূলনেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে যেতে পারেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বিকেল ৩টের সময় মমতা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দেশের ৮টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতানেত্রীরা ‘বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগানো’র অভিযোগ তুলেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মমতা, অখিলেশ, অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কে চন্দ্রশেখর রাও, শরদ পওয়ার তেজস্বী যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, ফারুক আবদুল্লার সই করা সেই চিঠিতে কংগ্রেস, বাম এবং ডিএমকের কোনও নেতার সই ছিল না।
বস্তুত, এর পরেই জাতীয় স্তরে আগামী লোকসভা ভোটে একটি বিজেপি বিরোধী অকংগ্রেস মঞ্চের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। যদিও মমতা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে একক শক্তিতেই লড়বে তাঁর দল।
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন অখিলেশ। কিন্তু তার পরেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের সময় জয়া ভাদুড়ির মতো সাংসদকে তৃণমূলের জন্য প্রচারে পাঠিয়েছিলেন মুলায়মের পুত্র। ২০২২-এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির মঞ্চে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রবিবার হরিয়ানার পাণিপতে আরএসএসের তিন দিনের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার সূচনায় স্মরণ করা হয় প্রয়াত মুলায়মকে। তার পরেই মমতা-অখিলেশের এই বৈঠকের ‘বার্তা’।