নতুন প্রশ্নে কুণালের আক্রমণ কেন্দ্রকে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের করুণাময়ী থেকে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের হটিয়ে দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। পথে নেমেছে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। গেরুয়া শিবিরের সেই হুমকির জবাবে নতুন প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দাবি তুললেন, কেন্দ্রের সরকারও কথা দিয়ে চাকরি দেয়নি। এর জবাবে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘যিনি টুইট করেছেন, তিনি নিজেও মনে মনে হাসছেন। এমন দাবি তিনি করে ফেলেছেন দেখে রাতেও হাসবেন বলেই মনে হচ্ছে।’’
দলের বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচিতে টানা রয়েছেন কুণাল। সেই কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই শুক্রবার বিকেলে একটি টুইট করেন তিনি। কুণাল লিখেছেন, ‘‘তা হলে রেল, সেনাবাহিনী-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় যারা পাশ করেও চাকরি পাননি, তাঁদের সকলকে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে কেন্দ্রের অফিসগুলির সামনে ধর্না অবরোধে বসলে সেটাও যুক্তিসম্মত হবে তো? বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল?’’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপির পক্ষে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী বছরে দু’কোটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা না হওয়ায় অনেক দিন থেকেই সরব তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ টেনেও কুণাল লিখেছেন, ‘‘২০১৪ থেকে ৮X২=১৬ কোটি চাকরির তালিকা প্রকাশ হোক।’’
এই প্রসঙ্গে শমীক বলেন, ‘‘বলার আগে ভাবা উচিত ওঁরা কী করেছেন। দেশের কোথাও এ ভাবে চাকরি বিক্রি হয়নি। হাজার হাজার চাকরি বিক্রি করে নেতারা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। বাগানবাড়ি, অট্টালিকা বানিয়েছেন। ফ্ল্যাট গুনে শেষ করা যাচ্ছে না। তাই উনি নিজে যা লিখেছেন তা দেখে উনি নিজেই হাসবেন।’’
রাজ্যে চাকরি নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যেই শনিবার ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচি রয়েছে মোদীর। বাংলাতেও তা পালন হবে। এই কর্মসূচিতে মোট ১০ লাখ চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। শনিবার প্রথম দফায় ৭৫ হাজার জনকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, সামনেই হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। বছর দেড়েক পরেই লোকসভা নির্বাচন। সেই কারণেই এই চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ।