রাজনীতি থেকে দূরেই সায়ন্তন। — ফাইল চিত্র।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ গিয়েছিলেন সায়ন্তন বসু। দিলীপ ঘোষ সভাপতি থাকার সময়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার সভাপতি হওয়ার পরে দলের কোনও দায়িত্বেই নেই তিনি। কী করছেন সায়ন্তন? অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার প্রায় দীর্ঘ কয়েক মাস পরে সায়ন্তন দেখা দিলেন দিল্লিতে। তাঁর উদ্যোগে প্রকাশিত বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর বক্তব্যের সঙ্কলন।
‘রাসবিহারী বসু, রেয়ার লেকচার সিরিজ়’ নামে বইটির যৌথ প্রকাশক দুই সংস্থা চন্দননগরের ‘রাসবিহারী রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ এবং ‘দিল্লির ন্যাশনাল আর্কাইভস অব ইন্ডিয়া’। শুক্রবার ছিল ‘আজাদ হিন্দ দিবস’। আর সেই দিনেই আজাদ হিন্দ বাহিনীর উদ্দেশে রাসবিহারীর বক্তৃতার সংকলন প্রকাশিত হল। উপস্থিত ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং জন বার্লা।
শুক্রবার দিল্লিতে বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে। — নিজস্ব চিত্র।
প্রকাশকদের দাবি, এই বই সম্পাদনার পাশাপাশি গবেষণার মূল কাজটাই করেছেন সায়ন্তন। রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই কি এই কাজ করতে সাহায্য করেছে? সায়ন্তন বলেন, ‘‘আমি রাজনীতিতে রয়েছি। দলের কোনও দায়িত্ব না থাকলেও আমি নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে হাজির থাকি। তবে এটা ঠিক যে, এখন অনেক বেশি অবসর। সেটা কাজে লাগিয়েই এই গবেষণার কাজে হাত লাগাই।’’ রাসবিহারীর জন্ম শহর চন্দননগর। আবার সায়ন্তনও আগে চন্দননগরে থাকতেন। সেই সূত্রেই ‘রাসবিহারী রিসার্চ ইন্সটিটিউট’-এর সঙ্গে যোগাযোগ। তিনি বলেন, ‘‘এটা প্রথম কাজ। রাসবিহারী বসুকে নিয়ে এমন অনেক কাজ চলছে। সেগুলি গবেষণার পর্যায়ে। আজকের সময়ে সেই সব গবেষণা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পরে একটা একটা করে বই হিসাবে প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্য বিজেপির বড় দায়িত্বে ছিলেন সায়ন্তন। উত্তরবঙ্গ জ়োন সামলেছেন। তবে নির্বাচনে প্রার্থী হননি। নানা সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়িয়েছেন। কিন্তু এখন সে সব থেকে সত্যিই অনেক দূরে তিনি। রাজনীতি ছেড়ে এখন কি তবে গবেষণাতেই বেশি মন দেবেন? সায়ন্তন বলেন, ‘‘সেটা সময় বলবে। যেমন দায়িত্ব দেওয়া হবে তেমন কাজ করব। আমি বিজেপির অনুগত কর্মী। তবে গবেষণা আমার পছন্দের কাজ। আরও কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’