জগদ্দলে ইউনিয়ন অফিসে তালা ঝোলানোর নিয়ে উত্তেজনা। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের একটি ইউনিয়ন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন শাসকদলেরই এক কাউন্সিলর। জগদ্দলের এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুরপিতার দাবি, অফিসটি দখল করেছেন নিজেদের তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচয়ধারী স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই। যা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই কাউন্সিলরের ‘বিরুদ্ধপক্ষ’। এই ঘটনায় জগদ্দলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি।
সোমবার জগদ্দলে এক্সাইড ব্যাটারি কারখানার গেটের উল্টো দিকে শাসকদলের একটি ইউনিয়ন অফিস খোলা হয়। এক্সাইড পার্মানেন্ট মোর্চা নামে ওই অফিসটি তৃণমূলের একটি ইউনিয়নের বলে দাবি। তবে অফিসটি খোলার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আভিমন্যু তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ‘‘ওই ঘরটি তৃণমূলের ইউনিয়ন অফিস নয়। আসলে ওখানে একটি ডাক্তারখানা ছিল। নিজেদেরকে তৃণমূলের নেতা ভাবেন, এমন কয়েক জন স্থানীয় দুষ্কৃতী ওখানে কয়েকটি পতাকা লাগিয়ে দেন। এর পর আজ (সোমবার) জোর করে সেটি দখল করে ইউনিয়ন অফিস করেছে। ওখানে তালা বন্ধ করা হয়নি। আর তৃণমূলের একটাই ইউনিয়ন, আইএনটিটিইউসি। এ নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।’’
যাঁরা ওই ইউনিয়ন অফিস খুলেছেন বলে দাবি, সেই গোষ্ঠীর এক নেতা সঞ্জয় সিংহের দাবি, ‘‘আমরাই তৃণমূলের ইউনিয়ন। তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী আমাদের অফিসে জোর করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’ নিজেকে মোর্চার কার্যকরী সভাপতি হিসাবে পরিচয় দেওয়া সঞ্জয়ের আরও দাবি, ‘‘আমরা এক্সাইড পার্মানেন্ট মোর্চার পার্টি অফিসে তালাবন্ধ করে চলে গিয়েছিলাম। শুনলাম, আজ (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টা-১টার সময় অভিমন্যু তিওয়ারি এসে ওই তালার উপর আরও একটি তালা ঝুলিয়ে দেন। আমরা জোর করে ইউনিয়ন অফিস খুলিনি। যে ডাক্তারবাবুর আফিস ছিল এটি, তিনিই ইউনিয়ন অফিস করার জন্য ওই ঘরটি দিয়েছেন। আমি এসে তালা ভেঙে দিয়েছি।’’
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনার অভিযোগ উঠলেও সঞ্জয়ের মতে, ‘‘এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। দু’খানাই তৃণমূলের ইউনিয়ন বলতে পারেন।’’ যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ।