সোমবার থেকে গোলাপ পাঠাবে তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
যেন মুন্নাভাইয়ের ভূমিকায় কুণাল ঘোষ। বিজেপির বিরুদ্ধে এ বার ‘গান্ধীগিরি’ রাজনীতির পথে হাঁটতে চাইছে তৃণমূল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সোমবার থেকে দলের কর্মীরা গোলাপ পাঠাবেন বলে রবিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, দলের ছাত্র ও যুব শাখার পক্ষ থেকে সোমবার থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। শুধু গোলাপ ফুল নয়, সঙ্গে একটি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কুণাল।
শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অভিষেকের সঙ্গে তাঁর মন্তব্য-যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বিধানসভা নির্বাচন পর্ব তো বটেই, তার পরেও লাগাতার দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। সেই লড়াইয়ে এ বার নতুন মাত্রা দিতে চাইছে তৃণমূল। রবিবার কুণাল সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা ‘অভিষেক ফোবিয়া’-য় ভুগছেন। তাঁর মানসিক সুস্থতা কামনা করে বাড়িতে গোলাপ পাঠাবেন দলের ছাত্র ও যুব কর্মীরা। সঙ্গে ‘গেট ওয়েল সুন’ লেখা কার্ড এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের ছবি পাঠানো হবে।’’ কুণালের দাবি, অভিষেককে নিয়ে যে ভাবে শুভেন্দু আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে, এটা একটা অসুখ। সেই কারণেই সুস্থতা কামনা করে চিঠি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘এত পরিমাণে অভিষেকের ছবি পাঠানো হবে যে ডায়ে, বাঁয়ে এমনকি আয়নার সামনে দাঁড়ালে পিছনেও অভিষেককে দেখতে পাবেন শুভেন্দু।’’
রবিবার সন্ধ্যায় একটি টুইট করে শুভেন্দু দাবি করেন, কলকাতার একটি হোটেলে মহা ধুমধাম করে অভিষেকের ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে ৫০০ পুলিশ, এমনকি বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াড নিয়োগ করা হয়েছে। মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়, আদতে ওই অনুষ্ঠানটি ডায়মন্ড হারবার ক্লাবের। একই দাবি করে নিজের ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক। এর পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা কুণালের।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি শুভেন্দুর গড় হিসাবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের সংগঠন দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন কুণাল। তার পর থেকেই কুণাল নানা কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন নন্দীগ্রাম, তমলুক-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এ বার সরাসরি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কটাক্ষের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। বিজেপি অবশ্য এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা অখিল গিরি দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এ সব করছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। আদিবাসী সমাজের প্রতি যে অসম্মান তৃণমূল দেখিয়েছে তা মেনে নেবে না বিজেপি।’’