বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে তৃণমূল, বিজেপি দুই দলেরই সভা ঝাড়গ্রাম জেলায়। ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের কর্মসূচি যখন ঠিক হয়েছিল, তখন ‘অখিল অস্বস্তি’ ছিল না তৃণমূলের। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি স্বয়ং দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর রূপ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে বেশ অস্বস্তিতে তৃণমূল। ফলে মমতার মঙ্গলবারের কর্মসূচি এখন রাজনৈতিক ভাবে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর একই দিনে ওই জেলারই অন্য প্রান্তে সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সভা ছাড়াও তিনি তফসিলি উপজাতি সমাজের কোনও পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
অখিলের মন্তব্যের পরে তৃণমূলের পক্ষে দূরত্ব তৈরি করা হয়েছে। দলের বিভিন্ন নেতা জানিয়ে দিয়েছেন, দল সমর্থন করছে না অখিলকে। কিন্তু এখনও এ নিয়ে কিছুই বলেননি মমতা। তৃণমূলের অনেকে মনে করছেন, মঙ্গলবার আদিবাসী প্রধান ঝাড়গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ‘নায়ক’ বিরসার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মমতা ওই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে পারেন।
অন্য দিকে, বিজেপি অখিলের মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভকে সর্বাত্মক করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় নেতারাও টুইটে আক্রমণ করেছেন। তাতে শুধু অখিল নয়, মমতাকেও ‘আদিবাসী বিরোধী’ বলে আক্রমণ করা হয়েছে। রবিবারই দিল্লিতে এফআইআর করেছেন দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। শনিবার বর্ধমানে মিছিল করেন সুকান্ত। এর পরে মঙ্গলবার কর্মসূচি। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে, তাতে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে যাবেন সুকান্ত। সেখানে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের একটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সেই সঙ্গে একটি সমাবেশও বক্তব্য রাখবেন। এর পাশাপাশি বিজেপি ঘনিষ্ঠ এক আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি।
দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদের মনোনয়ন দেওয়ার সময়ে আদিবাসী সমাজের প্রতি বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থানকে সামনে রাখা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। দ্রৌপদীকে তৃণমূল ভোট না দেওয়ায় তা নিয়েও প্রচারে নামে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই আক্রমণের ঝাঁঝ নতুন করে বাড়াতে অখিলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। তারই অঙ্গ হিসাবে সুকান্তের এই কর্মসূচি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই একই দিনে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বাঁকুড়ার আদিবাসী অধ্যুষিত রাইপুরে একটি সভা করবেন। তবে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিজেপি ওই সভার জন্য পুলিশের অনুমতি পায়নি।