পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে আগামী ৭ জুলাই। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, প্রথা অনুযায়ী অর্থমন্ত্রীই বাজেট পড়েন। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বার বাজেট পড়েননি। রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট পড়েছিলেন। এ বার মুখ্যমন্ত্রী পড়বেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে আমি বাজেট পড়তেই পারি।’’
বিধানসভার আধিকারিকদের একাংশের দাবি, পার্থ বাজেট পড়তে পারেন বলে তাঁদের কাছে খবর আছে। পরিষদীয় দফতরও এ বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে পার্থ এ ব্যাপারে বলছেন, ‘‘এখনও অবধি আমি এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ পাইনি। তবে পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে আমি বাজেট পড়তেই পারি। এক্ষেত্রে আইনগত কোনও সমস্যা নেই।’’ অমিত পড়তে না পারলেও বাজেট তিনি তৈরি করে দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছর বিধানসভা ভোট থাকায় অন্তবর্তী বাজেট পেশ করেছিল রাজ্য সরকার। অর্থমন্ত্রী অমিতের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৫ ফেব্রুয়ারি অন্তবর্তী বাজেট পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী, অর্থমন্ত্রীর বদলে মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী বাজেট পেশ করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া জরুরি। গত ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশের আগেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। পার্থ যদি বাজেট পড়েন, সে ক্ষেত্রেও রাজ্যপালের অনুমতি চাওয়া হবে। পার্থ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী ছাড়াও শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী।