টোল প্লাজায় টোল নীতিতে বদল চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। — ফাইল চিত্র।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠাতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় পরিবহণ ভবনে। সেই বৈঠকে স্থির হয়, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে, সেই প্রস্তাবে বলা হবে প্রতি দিন যে সব বাস জাতীয় সড়কে যাতায়াত করে সেই বাসগুলির থেকে প্রতি বার টোল আদায়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যবস্থা করা হোক। দিনে বার বার টোল নেওয়ার বদলে প্রতি মাসে হিসেব করে একসঙ্গে টোলের টাকা নেওয়া হোক। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের ব্যাখ্যা, জাতীয় সড়কে সাধারণত দূরপাল্লার বাস বেশি চলাচল করে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। কিন্তু বার বার টোল প্লাজায় টোল দিতে সময় অতিবাহিত হওয়ায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না।
তাই বিকল্প হিসাবে মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় ঘন ঘন চলাচল করা বাসগুলির থেকে টোল নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরটিওগুলির অনুমোদিত বাসগুলিকে এই আওতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হবে। মূলত বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র এবং শিল্পতালুকে যেতে গেলে জাতীয় সড়ক মারফত বাসগুলিকে অনেক টোল প্লাজা অতিক্রম করতে হয়। টোল প্লাজায় সব সময় টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে সময় এবং অর্থ দু’টোই অপচয় হয় বলে মনে করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। তাই এই সমস্যার সমাধান সূত্র বার করেছেন তাঁরা। যা লিখিত আকারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। পরিবহণ দফতরের কর্তাদের আশা, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাদের এই দাবি মেনে নেবেন।
এ প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের এক কর্তার দাবি, “জাতীয় সড়ক কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বে হলেও, তাতে যান চলাচল করে রাজ্য সরকারের অনুমোদন এবং অনুমতিক্রমেই। তাই পরিবহণ পরিচালনার ক্ষেত্রে যখন রাজ্য সরকারের ভূমিকা থাকে, তখন সেখান থেকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের বিকল্প কোনও প্রস্তাব থাকতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর এই শর্ত মেনেই আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করব বাস্তবতা এবং যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে পূর্ত ও সড়ক মন্ত্রক আমাদের এই প্রস্তাবে সায় দেবে।” এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক বাসগুলির ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।