শ’খানেক সরকারি বাস বাতিল করছে পরিবহণ দফতর। ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে কোনও গাড়ি চালানো বেআইনি। এ বার সেই নিয়মের আওতায় পড়ে বাতিল হতে চলেছে ১১ হাজার সরকারি যানবাহন। সম্প্রতি এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পরিবহণ দফতর। সেই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর, গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, গাড়ির নম্বর ধরে ধরে গাড়ি চিহ্নিত করার কাজও এগিয়েছে অনেকটাই। যার মধ্যে রয়েছে শ’খানেক সরকারি বাস। যার বেশির ভাগ পড়ে রয়েছে সরকারি গ্যারেজে। তাই এই শ’খানেক বাস বাতিল করতে পরিবহন দফতরকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত ঠিক হয়েছে নিয়মমাফিক বাতিল গাড়িগুলিকে ‘স্ক্র্যাপ’ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পরিবহণ দফতরের খাতা থেকেও ওই গাড়িগুলির নম্বর মুছে ফেলা হবে। তবে এক ঝটকায় ১১ হাজার গাড়ি বাতিল করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন পরিবহণ দফতরের একাংশ আধিকারিক।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, যে গাড়িগুলি বাতিলের তালিকায় এসেছে, তার একটা বড় অংশ ব্যবহার হয় পরিবহন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের জন্য। এক ঝটকায় সব গাড়ি বাতিল করা হলে অথৈ জলে পড়বে পরিবহন দফতর। শীর্ষ আধিকারিকদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে নাজেহাল হতে হবে দফতরকে। তাই স্থির হয়েছে গাড়িগুলি চিহ্নিত করার কাজ শেষ হলে, ধাপে ধাপে গাড়িগুলিকে বাতিল করা হবে। সম্প্রতি বেসরকারি বাসমালিকদের একটি সংগঠন অভিযোগ করেছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ সরকারি বাস রাস্তায় নামিয়েছে পরিবহণ দফতর। সংগঠনটির দাবি ছিল, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে যখন বেসরকারি বাস চালানোর অনুমতি রাজ্য সরকার দেয় না, তখন কিসের ভিত্তিতে বেআইনি ভাবে সরকারি বাস রাস্তায় নামছে? বিষয়টি নজরে এসেছিল পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তাদের। তার পরেই এই কাজে গতি এনে ১১ হাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে কোনও বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মানতে চান না পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁদের কথায়, গাড়ি বাতিল নিয়ে পরিবহণ দফতরের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মানতে বাধ্য রাজ্যের সরকারি থেকে বেসরকারি গাড়ির মালিকেরা। তাই সরকার নিজে যে নিয়ম তৈরি করেছে সেই নিয়মের আওতায় থাকা ১১ হাজার গাড়ি বাতিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনও বেসরকারি সংগঠনের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।