এক সপ্তাহের মধ্যে আবার এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা উঠছে সুপ্রিম কোর্টে। —ফাইল ছবি।
এক সপ্তাহের মধ্যে আবার এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা উঠছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার মামলাটি শুনবে শীর্ষ আদালত। গত শুনানিতে এই মামলায় চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব মিলিয়ে সোমবারের দিকে তাকিয়ে সব পক্ষ।
গত ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতে যান চাকরিহারাদের একাংশও। সোমবার একত্রে এই সংক্রান্ত প্রায় ১০টি মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতে প্যানেল থেকে কী ভাবে যোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব হবে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। নিয়োগ প্রক্রিয়ার একাধিক ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমতাবস্থায় এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হতে পারে।
রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বর্ধমানের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেবে বিজেপি। আমি দলের রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, রাজ্য বিজেপির তরফে একটি আইনি সহায়তা সেল এবং সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হোক। যাঁরা ঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, তাঁদের সেই সেল থেকে সাহায্য করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা দুর্নীতি করেছে তারা সাজা পাবে। কিন্তু যোগ্যদের জন্য বাংলার বিজেপি কাজ করবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’’ বিজেপি থেকে সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেওয়া হয় কি না, সে দিকে নজর থাকবে।
গত সোমবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু চাকরি বাতিল নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি। সোমবার এই মামলায় মূল চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করবেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের হয়ে দেখা যেতে পারে আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং রাকেশ দ্বিবেদীকে। বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভেও এই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারেন।