তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
তাঁরও কোটি কোটি টাকা রয়েছে। রয়েছে বাড়ি, গাড়ি ও চাষের জমি। আবার দেনাও রয়েছে কিছু। নির্বাচনের মনোনয়ন জমার সঙ্গে দেওয়া হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিবরণ। গাড়ি, বাড়ির পাশাপাশি অভিজিতের রয়েছে লাখ লাখ টাকার আইনের বই। তিনি সোনাদানার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন, তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ১২ লাখ টাকার আইনের বই। হলফনামায় সাধারণত বইয়ের উল্লেখ খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু সম্পত্তির বিবরণে বইয়ের অর্থমূল্যের বিষয়টিও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন অভিজিৎ। এ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, আইনের বইকে তিনি নিজের সম্পদ বলে মনে করেন। আর তার অর্থমূল্যও কম নয়।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়ছেন অভিজিৎ। বিজেপির টিকিটে তমলুক আসনে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। শনিবার ওই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৭ লাখ ২১ হাজার টাকা। আর ১ কোটি ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭২ টাকার স্থাবর সম্পত্তি তাঁর। অস্থাবর সম্পত্তির হিসাবের মধ্যেই তিনি জানিয়েছেন, একটি গাড়ি, দু’টি সোনার আংটি এবং আইনের বইয়ের কথা। গাড়ির দাম প্রায় ৬ লাখ টাকা। দামি পাথরের আংটি দু’টির মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। আর অভিজিতের বই ১২ লাখ টাকার।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে প্রাক্তন বিচারপতির চাষের জমি এবং একটি বাড়ি রয়েছে। অভিজিতের পৈতৃক বাড়ি হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি পঞ্চায়েত এলাকায় চাষের জমি রয়েছে। ওই সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সল্টলেক সেক্টর-৩ এলাকায় একটি ১২০০ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। মধ্য কলকাতার বৈঠকখানা রোডে থাকতেন অভিজিৎ। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে ওই সল্টলেকের ওই ফ্ল্যাটটি কেনেন তিনি। ওই ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লাখ টাকা। অভিজিতের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিচারপতি থাকাকালীন ওই ফ্ল্যাটটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কিনেছিলেন। বিজেপি প্রার্থীর হলফনামা বলছে, এখনও ৫০ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বাড়ি ঋণ রয়েছে অভিজিতের নামে।
অভিজিৎ একাই থাকেন। সেই অর্থে তাঁর পরিবার বলতে কিছু নেই। প্রাক্তন বিচারপতির সম্পত্তির বেশির ভাগ অংশই সঞ্চিত। ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও শেয়ার মার্কেটে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন সরকারি পদে কাজ করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি। বিচারপতি হওয়ার আগে অভিজিৎ ডব্লিউবিসিএস অফিসার ছিলেন। তার পর আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন। ২০১৮ সালে অভিজিৎ হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। প্রায় ছ’বছর বিচারপতি পদে থাকার পরে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি।