জনসভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মমতা বলেন, ‘‘কেষ্ট কে ধরে রেখেছে কেন? নির্বাচনের জন্য। ওকে বলেছে তুমি বিজেপিকে মদত করে দাও, তোমায় ছেড়ে দেব। দেখবেন বীরভূমের ভোট হয়ে যাবে, কেষ্টও ছাড়া পেয়ে যাবে।’’
মমতা বলেন, ‘‘অমর্ত্য সেনকে জমিহারা করে দিতে চেয়েছিল। সে দিন আমরা সবাই রুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বিশ্বভারতীর ভিসি কী করেছিলেন সে দিন? বীরভূমের বদনাম করে দিয়েছিলেন।’’
মমতা বলেন, ‘‘আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই, ক্রিকেট ম্যাচ সব গুজরাতে কেন হয়? সারা ভারতবর্ষে কেন হয় না?’’
বীরভূমের সভা থেকে আবারও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা মমতার। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বলছে এই ওসিটাকে চেঞ্জ করতে, করে দিচ্ছে। ডিআইজি পাল্টে দিচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা করতে বলছে, তাই করছে। এটা নির্বাচন কমিশন? তিন জনই বিজেপির কোলের সন্তান।’’
মমতা বলেন, ‘‘মিথ্যে নাটক করতে করতে, ফেক ভিডিয়ো বানাতে বানাতে বিজেপি স্পর্ধা বেড়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির কালি ঢাকতে, এখন তৃণমূলের ঘরে কালি ঢালার চেষ্টা করছে।’’
বীরভূমে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি কয়লা মাফিয়া। ওদের মন্ত্রীরা টাকা খান। গরু আমাদের বিষয় নয়, ওটা বিএসএফ দেখে।’’
বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা বলেন, ‘‘মোদীর দল, ক্ষমতা থাকলে আমার আর অভিষেকের নাম নিয়ে বিজ্ঞাপন করো। আমি দেখতে চাই কত বড় বুকের পাটা।’’
মমতা বলেন, ‘‘রোজ কাগজে এখন বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। কিন্তু তিন বছর ধরে একশো দিনের টাকা কেন দেননি? বার বার কেন্দ্রীয় টিম পাঠাচ্ছেন। আমি বলেছিলাম বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের আর বাংলার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ্যে আনতে। কিন্তু আপনারা জানতেন এখানে কিছু হয়নি।’’
সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে আবারও আক্রমণ মমতার। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালির কথা আপনারা কেউ ভাবতে পেরেছিলেন? প্রধানমন্ত্রী এসে কত কাঁদছেন। কিন্তু ঘটনাটা কী ভাবে সাজিয়েছিল, এক বারও কেউ বুঝতে পেরেছিলেন? সন্দেশখালি কী ভাবে টাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল? আমি বিজেপিকে বলব, টাকা দিলে টাকা পাওয়া যায়, কিন্তু মায়ের আত্মসম্মান চলে গেলে, তা ফিরে পাওয়া যায় না।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বীরভূমে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমি মনে করি, কেষ্ট আজ জেলে থাকলেও এই ছেলেটাই জেলার উন্নয়নকে হাতের মুঠোয় রেখে কাজ করত। তাই পর পর চারটে সেতু করেছি আমরা। বিজেপি সাজিয়ে-গুছিয়ে কেস করেছে। তাতে কী এক দিন না এক দিন তো বেরোবেই।’’
বোলপুরে প্রচারে গিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি আজকে মা ফুল্লরার মাটিতে দাঁড়িয়ে। কঙ্কালীতলায় আমি নিজেই মাঝেমাঝে চলে যেতাম। আমি দেখতাম, একটা ছোট্ট পুকুর আছে। আমার এখনও কয়েকটা জায়গায় যাওয়া হয়নি। চাকাইপুর আমার পিতৃভূমি। তবে আমার এখনও সেখানে যাওয়া হয়নি। আমি কুসম্বা গ্রামে জন্মেছি। সেখানে অনেক বার গিয়েছি। চাকাইপুরে আমাদের অনেক দেবোত্তর সম্পত্তিও ছিল। সেগুলি বাবা আমার জ্যাঠামশাইয়ের ছেলেদের দিয়ে দিয়েছি। ওঁরাই সেটা দেখাশোনা করেন।’’