গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ হলেও সিবিআই তদন্তের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে বেআইনি নিয়োগে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানায়, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে বেআইনি নিয়োগের তদন্ত করবে সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। আবার হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে তিন মাসের মধ্যে ওই বিষয়ে তদন্ত শেষ করতে হবে সিবিআইকে। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট ২৫৭৫৩ চাকরি বাতিলের রায় দেয়। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি ওই রায়তে উচ্চ আদালত জানায়, চারটি বিভাগের নিয়োগে সিবিআই আরও তদন্ত করবে। প্যানের বাইরে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল এবং সাদা খাতা জমা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতেও নেওয়া যাবে। ওই বিষয়ে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে বলে আদালত। হাই কোর্টের রায়ের এই অংশটিকে বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কারও বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মঙ্গলবার শুনানিতে একাধিক বার যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি আদালতে পরিসংখ্যান দিয়ে জানায়, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ৮৩২৪ জন প্রার্থী অযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়েছে। অতিরিক্ত শূন্যপদ বা 'সুপারনিউম্যারি পোস্ট' তৈরি করার জন্য রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধেও সিবিআইকে তদন্ত করতে বলেছিল হাই কোর্ট। গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। মঙ্গলবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সেই নির্দেশ বহাল রাখে।