মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
এসএসসি মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে তিনি খুশি। এ জন্য সমগ্র শিক্ষক সমাজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন আন্তরিক শ্রদ্ধা। নিজের এক্স হ্যান্ডলে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশি এবং মানসিক ভাবে তৃপ্ত। সামগ্রিক ভাবে শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।”
সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলা শুনানি ছিল মঙ্গলবার। শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, সে দিকে নজর ছিল চাকরিপ্রার্থী এবং শিক্ষক মহল-সহ গোটা রাজ্যের। ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানালেন, এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। কেন স্থগিতাদেশ, তার ব্যাখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বললেন, যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না। তবে এই নির্দেশ চূড়ান্ত নয়। এই স্থগিতাদেশ অন্তর্বর্তিকালীন। ১৬ জুলাই এই মামলার চূড়ান্ত নির্দেশ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আপাতত কাউকে বেতন ফেরত দিতে হবে না। তবে এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের মুচলেকা দিতে হবে। পরে তাঁদের নিয়োগ ‘অবৈধ’ বলে প্রমাণিত হলে অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সিবিআই যেমন অবৈধ নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল, সে ভাবেই তদন্ত চালিয়ে যাবে। তবে সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তবে এই নির্দেশ চূড়ান্ত নয়। এই স্থগিতাদেশ অন্তর্বর্তিকালীন।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে আবার ‘সত্যের জয়’ বলেই দেখছে তৃণমূল। বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য আবার একে রাজ্য সরকারের জয় বলে মানতে চাননি। তিনি এ-ও মনে করেন, দুর্নীতির আশঙ্কা শেষ হচ্ছে না।