R G Kar Protest

পুজো কার্নিভালের দিনই রানি রাসমণিতে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ডাক দিল চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চ

গোটা পুজোয় পুলিশ বনাম আন্দোলনকারীদের সংঘাত লেগেই ছিল। ত্রিধারার মণ্ডপে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে গিয়ে ন’জন আন্দোলনকারী গ্রেফতার হয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবারই তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৩৯
Share:

ধর্মতলায় অনশনমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারেরা। —ফাইল চিত্র।

আগামী মঙ্গলবার কলকাতার বড় পুজোগুলির প্রতিমা নিয়ে রেড রোডে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে পুজো কার্নিভাল। ওই দিনই আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ডাকল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।

Advertisement

চিকিৎসকদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চ এই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানেন না আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম নেতা দেবাশিস হালদার বলেন, “এই রকম কর্মসূচির কথা আমার জানা নেই। ফলে এ বিষয়ে এখনই কিছু মন্তব্য করতে পারব না।”

রানি রাসমণি রোড এবং রেড রোডের কার্নিভাল স্থলের দূরত্ব কয়েক মিটার বড় জোর। ফলে প্রশাসন চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের কর্মসূচিতে অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে নতুন সংঘাতের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের কর্মসূচি সম্পর্কে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ স্পষ্টই বলেছেন, “ওই দিন কোনও ভাবেই কর্মসূচি করতে দেওয়া উচিত নয়।” কুণাল আরও বলেন, “কিছু বাম আর অতিবাম এই বিষয়টি করছে। এরা পুজোকে কোনও কালে তুলে ধরেনি। আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুর্গাপুজো যখন ইউনেস্কোর আবহমান ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে তখন এরা তাকে মাটি করতে চাইছে।” ২০১৭ সালের দুর্গাপুজোয় কলকাতার একটি মণ্ডপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিকিৎসকদের একাংশকে খোঁচা দিতে চেয়েছেন কুণাল। তাঁর কথায়, “২০১৭ সালে মহম্মদ আলি পার্কে অসুরের গায়ে সাদা অ্যাপ্রন পরিয়ে গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে মমতাদির হস্তক্ষেপেই তা সরানো হয়েছিল। কিছু অকৃতজ্ঞ, বেইমান সে সব ভুলে গিয়েছে।”

গোটা পুজোয় পুলিশ বনাম আন্দোলনকারীদের সংঘাত লেগেই ছিল। ত্রিধারার মণ্ডপে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে গিয়ে ন’জন আন্দোলনকারী গ্রেফতার হয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবারই তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। অনেকের মতে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত পুজো কার্নিভালের দিন চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের ডাকে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি করে দিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement