তবে বিজেপি-র এই অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ করছেন, তা হাস্যকর।’’
আহত বিজেপি বিধায়কদের বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভায় দু’পক্ষের হাতাহাতির জেরে আহত বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ‘যথাযথ চিকিৎসা’র পর তাঁদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছেড়ে দেয়। এর পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
সোমবার বিধানসভায় গোলমালে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। অন্য দিকে, বিজেপি-র আহত সাত বিধায়কের প্রাথমিক চিকিৎসা হয় বিধানসভাতেই। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের বাইপাসের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালের উপর চাপ তৈরি করে বিজেপি বিধায়কদের হাসপাতাল থেকে ছাড়তে বাধ্য করেছেন।
পরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা গুরুতর আহত হলেও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দলের মহিলা বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও শিখা চট্টোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লাগায় তাঁরা হাঁটতে পারছেন না। তাঁদেরও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের চাপেই সাতজন বিধায়কের চিকিৎসা না করিয়েই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’ গুরুতর আহত হওয়ায় কল্যাণী এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মনোজকে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
তবে বিজেপি-র এই অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ করছেন, তা হাস্যকর।’’
অন্য দিকে,ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিজেপি বিধায়কদের চিকিৎসার বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, সাতজনকে দুপুর ১টা ৪৬ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের যথাযথ চিকিৎসা করা হয়েছে।