TMC

বগটুই-কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি মারপিট, রক্ত ঝরল বিধানসভায়, সাসপেন্ড পাঁচ

শুভেন্দু হুঁশিয়ার দেন, বিধানসভা কেবল স্পিকারের ক্ষমতাবলেই  চলে না, এখানে রাজ্যপালের একটি ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের সাসপেন্ড করে রাখা হলে মক পার্লামেন্ট করে প্রতিবাদ জানাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২২ ১৩:২১
Share:

সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই বগটুই -কাণ্ড নিয়ে বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে গোলমালের সূত্রপাত।

বিধানসভায় বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচজন বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই বগটুই -কাণ্ড নিয়ে বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে গোলমালের সূত্রপাত। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগগা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন। সেই প্রস্তাবের তরফে সমর্থন করে বক্তৃতা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এরপর দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ, জয়পুরের বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতোর সাসপেনশনের পক্ষে সওয়াল করেন। তারপরেই স্পিকার ওই পাঁচ বিধায়কের সাসপেনশন ঘোষণা করে দেন।

Advertisement

এরপরেই বিরোধী দলনেতা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে। সূত্রের খবর, চলতি বছর আগামী অধিবেশনগুলিতেও সাসপেন্ড থাকতে পারেন শুভেন্দু-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে যে সব সম্প্রদায়ের ভোট তৃণমূল পায়নি তাদের প্রতিনিধিদের বেছে বেছে সাসপেন্ড করেছে। ব্রাহ্মণ, ওবিসি, কুড়মি, আদিবাসী ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিধায়কদের বেছে বেছে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বিধানসভা কেবল স্পিকারের ক্ষমতাবলেই চলে না, এখানে রাজ্যপালের একটি ভূমিকা রয়েছে। আর আমাদের সাসপেন্ড করে রাখা হলে আমরা অধিবেশন কক্ষের বাইরে অধিবেশন বসিয়ে মক পার্লামেন্ট করে প্রতিবাদ জানাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement