সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছেন দু’জনেই। —ফাইল চিত্র।
সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকে সন্ধ্যায় বেরোলেন পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তলব পাওয়া এক আইএএস কর্তা এবং দক্ষিণ দমদমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তবে জানা গেল গত সাত-আট ঘণ্টায় তাঁদের কিছুই জিজ্ঞাসা করেনি ইডি।
রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সোমবার রাতে সিজিও দফতরে নিয়ে আসার পরেই মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা যায় দু’জনকে। সিজিও দফতরে হাজির হওয়া ওই আইএএস কর্তার নাম জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায়। তিনি সোমবারও এসেছিলেন সিজিওতে। তার কিছু পরেই সিজিওতে পৌঁছন দক্ষিণ দমদমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়ও। ইডি সূত্রে খবর ছিল দু’জনকেই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সূত্রে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যায় আইএএস কর্তা সিজিও থেকে বেরনোর সময় জানান, তাঁদের কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। সূত্রের খবর, পাচুকেও কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। রাজ্যে এই মুহূর্তে অনেকগুলির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। মঙ্গলবার সকাল থেকে সিজিওতে শুরু হয় জ্যোতিপ্রিয়ের জেরা পর্বও। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আইএএস কর্তা এবং পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়েছে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে। অর্থাৎ রেশন বণ্টন দুর্নীতির জেরা পর্বের সমান্তরাল ভাবে মঙ্গলবার সিজিওতে চলবে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তও।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে আগামী ১০ দিন ইডি হেফাজতে থাকতে হবে জ্যোতিপ্রিয়কে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, মন্ত্রীকে তাঁর আপ্তসহায়ক অমিত দে-র বয়ানের ভিত্তিতে জেরা করা হতে পারে। প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের বয়ানও উঠে আসতে পারে জেরায়। ওই দু’জনকেও মঙ্গলবার সিজিওতে তলব করেছে ইডি।