প্রতীকী ছবি।
চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৪.৮০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ৩৩ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়। সোমবার নয়াদিল্লির মীত নগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্তের নাম গৌরব কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসকের ভুয়ো পরিচয় নিয়ে সেখানে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন গৌরব। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাত জনের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন গৌরব। থানায় গিয়ে ওই সাত জন ব্যক্তি গৌরবের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাজিয়াবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছিলেন গৌরব। তার পর হাজারো সন্ধান করলেও চাকরি জোটেনি তাঁর। ব্যাচেলর অফ অকুপেশন্যাল থেরাপি নিয়ে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় গৌরব জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরের চিকিৎসক হিসাবে একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়েছিলেন তিনি।
লোকজন যেন তাঁকে সমীহ করে চলেন, সে কারণে গলাতেই ভুয়ো ‘আইডেন্টিটি কার্ড’ ঝুলিয়ে রাখতেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরে ভাল বেতনের চাকরি জোগাড় করে দেবেন বলে প্রতারণা শুরু করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, যে সাত জনকে তিনি চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদ হিসাবে নেন। তা ছাড়া অনলাইন মাধ্যমে পাঁচটি কিস্তিতে ১৪.৩০ লক্ষ টাকা আদায় করেন গৌরব। চাকরি পাকা হলে সাত জনের কাছে ইমেল পৌঁছে যাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন গৌরব।
পুলিশ জানায়, ইমেলের মাধ্যমে ওই সাত জনের কাছে চাকরির প্রস্তাবপত্র পৌঁছনোর পর তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, প্রস্তাবপত্রগুলি নকল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে গৌরবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গৌরবের কাছ থেকে একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র, নথি-সহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।