Private School Regulatory Commission Bill

রাজ্যে বেসরকারি স্কুল যথেচ্ছ বেতন নিতে পারবে না, কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিল মমতার মন্ত্রিসভা

বিলে বলা হয়েছে, কমিশন বেসরকারি স্কুলগুলির নেওয়া স্কুল ফিজ বা বেতনের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেবে। একই সঙ্গে ওই অর্থের অঙ্ক সরকারকেও জানাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ১৯:১২
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

যথেচ্ছ বেতন নিতে পারবে না বেসরকারি স্কুলগুলি। এ ব্যাপারে তাদের নির্দিষ্ট নিয়মে বেঁধে রাখতে একটি কমিশন গড়ার পরিকল্পনা ছিল রাজ্যের। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন পেল মন্ত্রিসভার। নতুন বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি স্কুলের বেতন কাঠামো বেঁধে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হবে একটি কমিশন। ওই কমিশনই পরবর্তী কালে ঠিক করে দেবে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে সর্বোচ্চ কত বেতন নিতে পারবে বেসরকারি স্কুল গুলি । এমনকি বেসরকারি স্কুল নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের অভাব-অভিযোগও শুনবে ওই কমিশনই।

Advertisement

সোমবার রাজ্যের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে বেসরকারি স্কুল সংক্রান্ত ওই বিল। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ওই কমিশনের নাম হবে শিক্ষা কমিশন। তবে এই কমিশন গড়ার বিলটির নাম, ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন বিল ২০২৩’। ওই বিলে বলা হয়েছে, এই কমিশনের মাথায় থাকবেন হাই কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। যাঁকে নিয়োগ করবে খোদ রাজ্য সরকার। তাঁরই নেতৃত্বে ওই কমিশন কাজ করবে। তিনি ছাড়া ওই কমিশনের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকবেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনার, রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ পরিষদ এসসিইআরটির অধিকর্তা, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি এবং দু’জন শিক্ষাবিদ।

বিলে বলা হয়েছে, কমিশন বেসরকারি স্কুলগুলির নেওয়া স্কুল ফিজ বা বেতনের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেবে। একই সঙ্গে ওই অর্থের অঙ্ক সরকারকেও জানাবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত বেতন নেওয়া নিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগও শুনবে এই কমিশন। সর্বোপরি, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে প্রয়োজনে অভিযুক্ত স্কুলগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারবে কমিশন।

Advertisement

এই মর্মেই সোমবার রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ওই বিল অনুমোদিত হয়েছে। তবে এখনই এই বিল আইনে পরিণত হচ্ছে না। ওই বিল বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্যপালের অনুমোদন পেলে তবেই তা আইনে পরিণত হবে। বেসরকারি স্কুলগুলিতে ভর্তির জন্য মাত্রাছাড়া অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। এই বিল আইনে পরিণত হলে বেসরকারি স্কুলের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের দীর্ঘ অভিযোগের সমাধান হতে পারে বলে অনুমান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement