কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র ।
পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য জয়ী প্রার্থীর বদলে পরাজিত প্রার্থীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিডিও। এমনটাই অভিযোগ এনে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ। আইএসএফের অভিযোগ, শাসক তৃণমূলের প্রার্থী পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বোর্ড গঠনের জন্য ডেকেছেন ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিডিও। অথচ ডাক পাননি জয়ী আইএসএফ প্রার্থী। কলকাতা হাই কোর্টে ওই বিডিওর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আর্জি জানিয়েছেন আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের ভোগালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আইএসএফের প্রার্থী ছিলেন বসিরুদ্দিন। তিনি ৫৯৫টি ভোট পেয়েছিলেন। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লা পেয়েছিলেন ৩৮৭টি ভোট। আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিনকে জয়ী হিসাবে ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জয়ী প্রার্থী হিসাবে তাঁকে শংসাপত্রও দেওয়া হয়। আগামী বুধবার দুপুর ১২টায় ওই সদস্যদের শপথগ্রহণ এবং বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই মতো পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিডিও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮ জন সদস্যকে ডেকেছেন। আইএসএফের অভিযোগ, সেই ১৮ জনের মধ্যে জয়ী প্রার্থী বসিরুদ্দিনের পরিবর্তে নাম রয়েছে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আখেরের।
মামলকারী বসিরুদ্দিনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে প্রশ্ন তোলেন, বসিরুদ্দিনকে জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দেওয়ার পরেও ওই আসনের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে কী ভাবে বোর্ড গঠনের জন্য ডাকতে পারেন বিডিও? পুরো বিষয়টিতে বিডিও-র ভূমিকাও তদন্ত করে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে। সোমবার সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।