TET

মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে আবার তলব ইডির, এ বার অফলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ

সূত্রের খবর, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষে ডিইএলইডি কলেজগুলিতে অফলাইনে কত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে তাপসের থেকে। আগামী ২ নভেম্বর তলব করা হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১০:৫১
Share:

মানিক ভট্টাচার্য ও তাপস মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে আবার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী ২ নভেম্বর তাপসকে ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয় বার তলব করা হল তাপসকে।

Advertisement

সূত্রের খবর, ২০১৮-২০, ২০১৯-২১, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিইএলইডি কলেজগুলিতে অফলাইনে কত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে তাপসের থেকে। ইডির দাবি, ৬০০টি কলেজে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হত। এই টাকা যেত মানিকের কাছে। ফলে কত সংখ্যক ছাত্রের অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল এবং মোট কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতেই আবার তাপসকে তলব করা হয়েছে বলে খবর।

এর আগেও দু’বার তলব করা হয়েছিল তাপসকে। সে বার দীর্ঘ ক্ষণ ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, অনলাইন ক্লাসের টাকা গরমিল নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ‘অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচি‌ভার্স অ্যাসোসিয়েশন (এবিটিটিএএ)’-এর প্রেসিডেন্ট তাপস। এবিটিটিএএ-এর আওতায় অনেক কলেজ রয়েছে যে কলেজগুলিতে ডিএলএড-এর কোর্স করানো হয়। কোভিড আবহে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবিটিটিএএ-র পক্ষ থেকে ডিএলএড-এর পড়ুয়ার জন্য মাথা পিছু ৫০০ টাকার বিনিময়ে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। সেই অনলাইন ক্লাসগুলির পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় টালিগঞ্জের এক সংস্থাকে। প্রায় দু’কোটি টাকায় এই চুক্তি হয় বলেও ইডি সূত্রে খবর। আর এই টাকা কোথায় পাঠানো হয়েছে এবং কাকে পাঠানো হয়েছে, তা জানতেই তাপসকে তলব করা হয়েছিল।

Advertisement

যদিও তাপস দাবি করেছেন যে, অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে মানিক ও তাঁর ছেলের কোনও যোগ নেই। কিন্তু, ইডির দাবি, মানিক-পুত্রের সংস্থার মাধ্যমেই অনলাইন ক্লাস হয়েছে।

অন্য দিকে, এই মামলায় গত ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় মানিককে। তাঁর গ্রেফতারির পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, এক মৃত ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক-পত্নীর। সেই অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা রয়েছে। আদালতে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন যে, মানিকের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা নানা সংস্থা ও যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। এই প্রেক্ষাপটে মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও নতুন তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement