কোভিড সংক্রমণের গতি রুখতে গত বুধবার নবান্নে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে সংক্রমণের গতি রুখতে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
১৯ মে জরুরী বৈঠক স্বাস্থ্য ভবনে। ফাইল চিত্র।
আগামী জুন মাসেই ফের মাথা চাড়া দিতে পারে কোভিড সংক্রমণের ঢেউ। তাই গত বুধবার নবান্নে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে সংক্রমণের গতি রুখতে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর তার পরেই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। আগামী ১৯ মে স্বাস্থ্য ভবনের প্রায় সব শীর্ষ আধিকারিকদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
বৈঠকটি হবে স্বাস্থ্য ভবনেই। সূত্রের খবর, কোভিড সংক্রমণ যাতে নতুন করে প্রভাব না ফেলতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতেই স্বাস্থ্যভবনের সব আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদে সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন সিদ্ধার্থ নিয়োগী। তিনি বৈঠকে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্সের আধিকারিকদেরও। এ ছাড়াও থাকবেন কলকাতা জেলার সব স্বাস্থ্যকর্তারাও। দায়িত্ব গ্রহণের পরেই কোভিড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এসেছে নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, যে হেতু চিকিৎসক মহল জুন মাসে ফের করোনা সংক্রমণে বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তাই মে মাস থেকেই এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চাইছে প্রশাসন। সেই লক্ষ্যেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জোকা আইআইএমের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ২৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য ভবন উদ্যোগী হয়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছে। পাশাপাশি, যে ৫৮ জন ছাত্রছাত্রী তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরও তিন দিন অন্তর কোভিড পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতি ছাড়াও রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা, কর্মপদ্ধতি, সুবিধা-অসুবিধা, জাতীয় স্তরের স্বাস্থ্য প্রকল্পের অগ্রগতি ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।