মুখ্যমন্ত্রীর সভার পাল্টা সবার আয়োজন শুভেন্দুর।
উত্তরবঙ্গের মালবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পাল্টা সভা’ করবেন বিরেোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৫ নভেম্বর ওই সভার দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পালাবদলের আগে ঠিক একই ভাবে মমতা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সভা করার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় সভা করতেন। তার দায়িত্বে মূলত থাকতেন তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। তবে মমতার সভা সাধারণত বুদ্ধদেবের সভার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত। শুভেন্দুর মালবাজারের সভার দিন ধার্য হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সভার অন্তত ২০ দিন পরে।
এখনই উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ৪ দিনের সফরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখানে তিনি যেমন প্রশাসনিক সভা করবেন, তেমনই পুলিশের একটি বিজয়া সম্মেলনীতেও যোগ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের ‘পাল্টা’ জনসভার কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। ৫ নভেম্বর মালবাজারে জনসভা করবে বিজেপি। সেখানেই প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির হবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সূত্রের খবর, ওই সভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ‘পাল্টা’ বক্তৃতা করবেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সফরের প্রথম দিনেই মালবাজারে হড়পা বানে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে তাঁর প্রশাসনিক সভা। বুধবার শিলিগুড়িতে পুলিশের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এই যাবতীয় কর্মসূচির ওপরেই নজর রাখছে বিরোধী দলনেতার দফতর। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও বক্তৃতার জবাব তৈরি করে উত্তরবঙ্গ যেতে চান শুভেন্দু। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এখন থেকেই।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরলেই মালবাজারে যাবেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু পরে বিজেপি নেতৃত্ব আলোচনা করে ঠিক করেন কালীপুজো, দীপাবলি উৎসব, ছটপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো শেষ করে তারা পাল্টা সভা করবেন। সেই মতো উত্তরবঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে বিরোধী দলনেতার সভার আয়োজনের বিষয়ে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রের খবর, উৎসবের মরশুমে রাজনীতি করতে চান না বিরোধী দলনেতা। তাই তাঁর কর্মসূচি পিছিয়ে ৫ নভেম্বর করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ‘পাল্টা সভা’ করতে বিরোধী দলনেতা উত্তরবঙ্গে গেলে সেখানকার রাজনৈতিক উত্তাপ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। যা পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির পক্ষে কার্যকরী হবে বলে বিরোধী শিবিরের দাবি।