অদিতি মুন্সী ও দেবরাজ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে সিবিআই দফতর রয়েছে) গেলেন তৃণমূল কাউন্সিলর ও বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী। ‘ভোট-পরবর্তী হিংসা’ মামলায় মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজকে তলব করেছিল সিবিআই। তলব পেয়ে তিনি সিজিওতে হাজিরা দিয়েছেন। সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন দেবরাজ।
‘ভোট-পরবর্তী হিংসায়’ ২০২১ সালে প্রসেনজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। বাড়ির বাইরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২০২২ সালে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই ঘটনার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মঙ্গলবার দেবরাজকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল না দেবরাজের। পরে তদন্তে তাঁর নাম উঠে আসে। সে কারণেই তৃণমূলের ওই যুব নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই দফতরে পৌঁছে দেবরাজ বলেন, ‘‘আমি আইন মেনে চলা নাগরিক। আমায় ডাকা হয়েছে। তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে আমি এসেছি। ভিতরে কী হবে ওঁরাই বলতে পারবেন। ওঁরা যা জানতে চাইবেন, আমার কাছে যা তথ্য রয়েছে, তা জানিয়ে আমি সাহায্য করব।’’
এর আগে, তলব প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে মঙ্গলবার দেবরাজ বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, সিবিআই আমাকে তলব করেছে। আমি সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরা দিতে সিজিও কমপ্লেক্সে যাচ্ছি।’’
বস্তুত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর ছড়ায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের হত্যার অভিযোগ ওঠে। যা ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। ‘ভোট-পরবর্তী হিংসা’ মামলায় নাম জড়িয়েছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। বর্তমানে গরু পাচার-কাণ্ডে জেলবন্দি কেষ্ট। মঙ্গলবার অনুব্রতের বিরুদ্ধে ‘ভোট-পরবর্তী হিংসা’ মামলায় শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের আরও এক নেতাকে যে ভাবে সিবিআই ডেকে পাঠাল, তা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।