শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যভবনে ঢোকার মুখে বাধা পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির ‘বাড়বাড়ন্ত’ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। গেট বন্ধ করে দেওয়া হলে গেট ঝাঁকাতে দেখা যায় তাঁকে
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, স্বাস্থ্যভবনে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ‘দু’মিনিটের কাজে’র জন্য তাঁকে এবং অন্য বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেওয়া হল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও দাবি শুভেন্দুর। তিনি বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” হাতে ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা।
পরে আরও এক বার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” ডেঙ্গি মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, এমনটা দাবি করে শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, সে টাকা কোথায় রাখা হয়েছে?
এই নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শুভেন্দুর এই স্বাস্থ্যভবন অভিযান নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু শকুনের রাজনীতি করছেন। এই মরসুমে ডেঙ্গি প্রতি বছরই হয়। তা রুখতে স্থানীয় স্তরে প্রশাসন কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে জনগণের সচেতনতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সব কিছুকে এড়িয়ে শুভেন্দু সস্তার রাজনীতি করে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন।"