China Ship To Sri Lanka

ভারতের ‘উদ্বেগ’কে গুরুত্ব, চিনা জাহাজকে নিজেদের বন্দরে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা

নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে এবং ভারত-সহ বন্ধুরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই চিনের জাহাজকে তাঁদের বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাব্রি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:২৩
Share:

চিনা জাহাজ ‘শি ইয়ান ৬’। ছবি: টুইটার।

ভারতের ‘উদ্বেগ’কে গুরুত্ব দিয়ে চিনের একটি জাহাজকে নিজেদের বন্দরে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আলি সাব্রি সোমবার জানিয়েছেন, ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে এবং ভারত-সহ বন্ধুরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই চিনের জাহাজকে বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার এই অবস্থানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

অক্টোবর মাসে শ্রীলঙ্কার বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক মাধ্যমে আবেদন জানায় চিন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। শ্রীলঙ্কার একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘শি ইয়ান ৬’ নামের ওই জাহাজ ভারত মহাসাগরে গবেষণা সংক্রান্ত কাজ করত বলে কলম্বোকে জানায় বেজিং।

এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এই বিষয়ে ভারত দীর্ঘ দিন ধরে তাদের আপত্তি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা আমাদের নির্দিষ্ট নীতি (এসওপি) মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর আরও সংযোজন, “আমি যত দূর জানি, অক্টোবরে চিনা জাহাজকে শ্রীলঙ্কায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন এ ক্ষেত্রে জড়িত। আর সেটি বৈধও, আর আমাদের কাছেও সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”

Advertisement

এর আগে, গত বছরই চিনের নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল। সেই সময় এই বিষয়ে ভারতের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার পূর্বতন দুই শাসক মাহিন্দা এবং গোতাবায়া রাজাপক্ষের আমলে চিন-শ্রীলঙ্কা বোঝাপড়া ‘উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি’ পেয়েছিল বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের শাসনে শ্রীলঙ্কা সেই অবস্থান বদলাচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্যও অনেকে চিনের ঋণনীতিকে দায়ী করে থাকেন। অপর দিকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে একজোট হয়েছে আমেরিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement