ডিএ মামলা পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? ফাইল চিত্র।
ডিএ মামলার আইনি নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। তবে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের বড় একটি অংশ। শনিবার হাজরা মোড়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে শুভেন্দু আরও এক বার তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করলে তিন দিনে চলে আসে। আর ডিএ-র মামলা ডিসেম্বর মাস থেকে জুলাই মাস হয়ে যায়।” এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “আমরা সব পিছনের খেলা জানি। এই খেলা বন্ধ হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব খেলাই বন্ধ করব আমরা।”
ঘটনাচক্রে সুপ্রিম কোর্টে মোট সাত বার পিছিয়ে গিয়েছে ডিএ মামলার শুনানি। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। ২০২২ সালের মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি ছিল, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে। কিন্তু ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। এর থেকে তাঁদের কখনওই বঞ্চিত করা যাবে না। গত ২৮ এপ্রিল মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আরও এক বারের জন্য তা পিছিয়ে যায়। ১৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এই মামলা পিছিয়ে যাওয়া নিয়েই ওই মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তবে এর নেপথ্যে কোন খেলার কথা তিনি বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি বিরোধী দলনেতা।