নিজের কনভয়ের গাড়িতে দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
হাজরা মোড়ে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি নিজের কনভয়ের গাড়িতে দুর্ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে এক সাইকেল আরোহীকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছিল শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় শুক্রবারই অভিযুক্ত গাড়িচালক আনন্দকুমার পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। সেই প্রসঙ্গের কথা সরাসরি উল্লেখ না করলেও শনিবার শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে দেহ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটেছে, দেহ নিয়ে চলে গেছে ওখানে।”
কনভয়ের গাড়িতে ধাক্কা লেগে মৃত ব্যক্তির দেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল। এই ঘটনায় শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি তুলেছিল বাংলার শাসকদল। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শুভেন্দু হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “আমি তো গোটা পশ্চিমবঙ্গের লোককে বলব, যেখানেই অ্যাক্সিডেন্ট হবে, যেখানে খুন হবে, আমাকে খবর দেবেন। আমি ওই দেহটা নিয়ে এই কালীঘাটের গলিতে ঢুকব।” এই কালীঘাটেই বাড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দুর হুঁশিয়ারির লক্ষ্য ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীই। বিরোধী দলনেতার কথা থেকেই স্পষ্ট, তিনি দেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে যেতে চান। তা ছাড়া, কনভয়-কাণ্ড যে ইচ্ছাকৃত কোনও ঘটনা নয়, নিছকই ‘দুর্ঘটনা’, এ বিষয়ে মুখ খুলে তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু।
ডিএ (মহার্ঘ ভাতা)-র দাবিতে শহিদ মিনার ময়দানে একটানা অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই অবস্থানের ১০০তম দিন পূর্ণ হল শনিবার। আন্দোলনের শততম দিবসকে উদ্যাপনের জন্য কলকাতায় মিছিল এবং সভার ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয় মঞ্চ। শান্তিরক্ষা-সহ বেশ কিছু শর্তে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে এই মিছিলের অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই শুভেন্দু মমতা এবং অভিষেকের উদ্দেশে তোপ দেগে জানান, রাজ্যে বিরোধীদের মিছিল করতে হলেই আদালতের অনুমতি নিতে হয়। এই সব কিছু অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এর পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের লড়াই আরও জোরদার করার ডাক দেন তিনি।