ডিএ-মঞ্চ থেকে আবারও মমতার সরকারকে তোপ শুভেন্দুর। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ‘টাইট’ দেওয়ার কৌশল তাঁর জানা আছে বলে সম্প্রতি একাধিক বার দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার হাজরা মোড়ে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চে গিয়েও সেই কৌশল খোলসা করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এই কৌশলের অস্ত্র কী হবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।
শনিবার ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে শুভেন্দু তাঁদের পরামর্শ দেওয়ার ভঙ্গিতে বলেন, “আপনারা মারপিট করার কোনও কর্মসূচি নেবেন না।” তার পরেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “এরা নিষ্ঠুর, এরা বর্বর, এরা যে কোনও সময় খুন করতে পারে। ট্রিগার হ্যাপি এরা।” ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। স্ত্রী-পুত্র, পরিবার, বাবা আছে। অনশন করে শরীর নষ্ট করা যাবে না।” তার পরেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে টাইট করার উপায় জানিয়ে দেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর কথায়, “আপনাদের হাতে কলম আছে। কলমের খাপ বন্ধ করলেই টাইটটা হবে।” নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যায় শুভেন্দু জানান, সরকারের সঙ্গে লাগাতার অসহযোগের পথে হাঁটলে সরকার এমনিতেই সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে নিতে বাধ্য থাকবে। আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদেরও এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান শুভেন্দু। বর্তমান তৃণমূল সরকারকে হটাতে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেও সকলকে আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানান তিনি। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থানমঞ্চে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের একটানা কর্মবিরতির পথে হাঁটার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। আন্দোলনকারীদের আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং হাজরা মোড়ের মঞ্চ থেকে আরও একধাপ এগিয়ে ডিএ নিয়ে গণআন্দোলন জোরদার করার ডাক দেন তিনি।
ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারের নীচে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সেই আন্দোলনের ১০০তম দিন ছিল শনিবার। শনিবার সকালেই মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘হাজরা মোড় থেকে মিছিল যাবে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটে। তার পর আবার হাজরা মোড়ে ফিরে আসবে। ১০০ দিনের উদ্যাপন আমরা হাজরা মোড়েই করছি।’’