শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই ‘মুখবন্ধ’ খামে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল রাজ্য। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্রের দেওয়া ‘জেড’ স্তরের নিরাপত্তা এমনিতেই পান শুভেন্দু। যদি কোনও পরিস্থিতিতে তাঁর বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তা স্থির হবে।
আদালতের দ্বারস্থ হয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, ভোটের সময়ে একাধিক বার তাঁর উপর আক্রমণ হয়েছে। হামলার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি। গত মাসেও আদালতকে জানান, তিনি রাজ্যে বিরোধী দলনেতা হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁরও একজন পূর্ণমন্ত্রীর মতোই নিরাপত্তা প্রাপ্য। রাজ্য সেই নিরাপত্তা না দেওয়ায় তাঁকে এখনও কেন্দ্রের নিরাপত্তার উপর ভরসা করতে হচ্ছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে আদালত জানতে চেয়েছিল, শুভেন্দুর নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে। রাজ্যের রিপোর্ট জমা পড়ার পর শুক্রবারের রায়ে আদালত জানিয়েছে, শুভেন্দু কেন্দ্রের থেকে যে নিরাপত্তা পান, তা বহাল থাকবে। যদি তা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে, তা হলে কেন্দ্র ও রাজ্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তার বন্দোবস্ত করবে। এ ছাড়াও আদালতকে দেওয়া ওই ‘মুখবন্ধ’ খামে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজ্য জানিয়েছে, শুভেন্দুর জন্য রুট লাইনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ শুভেন্দু যেখানেই যাবেন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন যেন সেখানে তাঁর নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি এক জন পূর্ণমন্ত্রীর মতোই শুভেন্দুর জন্য একটি পাইলট কারের বন্দোবস্ত করা হবে রাজ্যের তরফে।
এর আগের সরকারে মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের দেওয়া ‘জেড প্লাস’ স্তরের নিরাপত্তা পেতেন শুভেন্দু। কিন্তু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগেই সেই নিরাপত্তা ত্যাগ করেন তিনি। তবুও শুভেন্দু ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’, এই যুক্তিতে তাঁর নিরাপত্তা বহাল রেখেছিল রাজ্য পুলিশ। পরে তিনি বিজেপি-তে যোগ দিলে কেন্দ্রের তরফে তাঁকে জেড স্তরের নিরাপত্তা এবং বুলেট প্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।