প্রথম কালবৈশাখী দেখল দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরের প্রথম কালবৈশাখী দেখল দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। তীব্র তাপপ্রবাহের আবহে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো এই ঝড়জল এক দিকে যেমন সাময়িক স্বস্তি দিল, তেমনই ক্ষয়ক্ষতিও হল প্রচুর। প্রবল ঝড়বৃষ্টির জেরে তোরণ ভেঙে পশ্চিম মেদিনীপুরে মৃত্যু হল এক যুবকের। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। পূর্ব বর্ধমানেও বাড়ির ছাদে প্রকাণ্ড নারকেল গাছ পড়ে আহত হয়েছে এক শিশু-সহ তিন জন। এ ছাড়াও বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত চাঙ্গুয়ালের জামনা বারবেটিয়া এলাকায় তোরণ ভেঙে অনুপ হুই (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ঝড়ের সময় বাইক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নন্দীগ্রামের দেবীপুর গ্রামে কালবৈশাখীর ঝড়ে বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন মা ও ছেলে। মায়ের নাম ইন্দিরা দুয়ারী (৫০) ও ছেলের নাম মিলাল দুয়ারী (৩০)। ময়নায় প্রবল ঝড়ের সময় মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়ে মাথায় গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ বছরের এক নাবালিকার।
অন্য দিকে, গাছের ডাল ভেঙে গায়ে পড়ে আহত হয়েছেন কেশিয়াড়ি থানার খাজুরা এলাকার বাসিন্দা চামটু লায়েক (৬২)। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার দক্ষিণশুড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে বাড়িতে প্রকাণ্ড নারকেল গাছ ভেঙে পড়ে এক শিশুকন্যা আহত হয়েছে। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচেছেন আরও দু’জন। তিন আহতকেই রাতে জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কালবৈশাখী হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরেও। ওই জেলার মেচেদা, তমলুক, মহিষাদলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে শনিবার সন্ধ্যায়। পুরুলিয়াতেও প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। বরাবাজার, বান্দোয়ান এলাকা বিকেলেই আকাশ কালো করে স্বস্তির বর্ষণ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ঝড়ের গতি ভালই ছিল।