Arjun Singh

Arjun Singh: ‘বিদ্রোহী’ অর্জুনকে কি সামলে ফেলল বিজেপি? মোদীর মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ‘সন্তুষ্ট’ সাংসদ

দিল্লি যাওয়ার আগে অর্জুন বলেছিলেন, রাজ্যের পাটশিল্প রক্ষা করাটা তাঁর কাছে মরণবাঁচন বিষয়। বৈঠকের পর অবশ্য আশাবাদী বারাকপুরের সাংসদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২২ ০১:২৯
Share:

বৈঠকের পর গয়ালের সঙ্গে ছবি পোস্ট অর্জুনের। ছবি: টুইটার।

পাটশিল্পের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই ‘বেসুরো’ ছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। চিঠি লিখেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিরও ‘ইঙ্গিত’ ছিল তাঁর একাধিক মন্তব্যে। পরিস্থিতি দেখে শনিবার তড়িঘড়ি অর্জুনকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শনিবার কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর খুশি অর্জুন। আলোচনা যে সদর্থক তার ইঙ্গিত দিলেন নেটমাধ্যমে। জানালেন, তিনি আশা করছেন, সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

শনিবার রাতে পীযূষের সঙ্গে একটি ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমার অনুরোধে আজ (শনিবার) রাতে মাননীয় পীষূষ গয়ালজি তাঁর বাড়িতে বাড়িতে বৈঠকের জন্য আমাকে ডেকেছিলেন। পাট চাষি, কর্মী এবং পাটশিল্পের সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক যথেষ্টই ইতিবাচক। আশা করছি, দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’ পোস্টে হাসি মুখে পীযূষের সঙ্গে নিজের ছবিও পোস্ট করেন অর্জুন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্যের পাটচাষি ও চটকল কর্মীদের দূরাবস্থার নিরসন চেয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছেন অর্জুন। তোপ দাগেন খোদ বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ ছিল, চটকলগুলি পাটচাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা পণ্যের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় প্রবল সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য মানুষ। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানান, কাঁচা পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত না বদলালে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে মিছিল ও আন্দোলন করবেন তিনি। শুধু তাই নয়, গত শুক্রবার বাংলার জুটমিলগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠিও লেখেন বিজেপি সাংসদ। অর্জুনের বক্তব্য ছিল, ‘আমার নির্বাচনী কেন্দ্র ব্যারাকপুরে ২০টি জুটমিল রয়েছে। পাটশিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ পাটচাষি। তাঁদের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি।’ মমতা ছাড়াও ওড়িশা, অসম ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছেন তিনি। এর অব্যবহিত পরেই দিল্লির ডাক আসে অর্জুনের কাছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, হঠাৎ করে ‘বিদ্রোহী’ অর্জুনকে সামলে ফেলেছে বিজেপি। দিল্লি যাওয়ার আগে অর্জুন বলেছিলেন, রাজ্যের পাটশিল্প রক্ষা করাটা তাঁর কাছে মরণবাঁচন বিষয়। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের বড় পরিচয় পাটশিল্প। সেই শিল্পই যদি না থাকে এবং তার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যদি দায়ী হয়, তবে মানুষ কেন আমাদের সঙ্গে থাকবে?’’ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্জুন আশাবাদী যে সমস্যা মিটবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement